সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনদিনের সফরে পাকিস্তানে এসেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে আটটি মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। আর এর পরই আমেরিকার রোষের মুখে পড়েছে ইসলামাবাদ। হোয়াইট হাউসের তরফে পরিষ্কার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে পাকিস্তানকে।
মার্কিন (US) বিদেশ দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ”আমরা এই নেটওয়ার্ক এবং এর গণধ্বংসী অস্ত্র কেনার কার্যক্রমকে বাধা দেব এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, কেউ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিতে গেলে যেন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা খেয়াল রাখে। তবে শেষ পর্যন্ত, পাকিস্তান সরকার তাদের নিজস্ব বিদেশ নীতি অনুসরণ করতেই পারে।” কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা? সেপ্রসঙ্গে বেদান্ত বলেন, ”নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পিছনে কারণ হল, এরা গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবসায়ী এবং সেগুলো বিতরণের মাধ্যম।” চিন ও বেলারুশে রয়েছে এই সংস্থাগুলির ঘাঁটি, এই দাবিও করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাকিস্তানে (Pakistan) এসেছেন ইরানের (Iran) প্রেসিডেন্ট। আর এই সফরেই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই মুহূর্তে অর্থ সংকটে জেরবার ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানের কাছে বড় ভরসা হয়ে উঠতেই পারে ইরান। আর সেই কারণেই মার্কিন হুঁশিয়ারির মধ্যেই তেহেরানের সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও আরও নানা বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চুক্তি করেছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.