সুপ্রিয় চট্টোপাধ্যায়, নিউ জার্সি: গত অক্টোবর থেকেই ভোটগ্রহণের সূচনা হয়েছে আমেরিকায়। ২০ সেপ্টেম্বর আগাম ভোট বা ‘আর্লি ভোট’ হয় ৪৭টি রাজ্যে। অবশেষে এটাই ভোটদানের চূড়ান্ত দিন। ১২ বছর ধরে নিউ জার্সিতে রয়েছি। এতদিন এখানে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এবারের নির্বাচনের মতো অবিশ্বাসের বাতাবরণ কখনও দেখিনি। যিনিই জিতুন, তাঁর জয় নিয়ে একটা সংশয় থাকবেই মার্কিনীদের মনের মধ্যে।
আমেরিকার বহু প্রদেশে পরিচয়পত্র ছাড়াই ভোট দেওয়া যায়। সেখানকার সংবিধান অনুযায়ীই এমন নিয়ম। আর এমন নিয়মের কারণেই সন্দেহ থেকে যাচ্ছে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা জাল ভোট দিতে পারেন নিজের পছন্দের দলকে জেতানোর জন্য।
তবে এও ঠিক এই নির্বাচন মার্কিন নাগরিকদের জীবনে খুব বড় কোনও প্রভাব ফেলবে না। আমাদের দৈনন্দিন জীবন অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত হয় প্রদেশগুলির নিজস্ব আইনের দ্বারা। প্রতিটি প্রদেশের আলাদা আলাদা সংবিধান রয়েছে। ঠিক যেমন স্বাধীন দেশগুলির থাকে। কেবল মাত্র অভিবাসন নীতি, প্রতিরক্ষা, বৈদেশিক নীতির মতো মুখ্য বিষয়গুলিই মূলত ফেডেরাল গভর্নমেন্টের (মার্কিন মুলুকের কেন্দ্রীয় সরকার) অধীনে।
এককথায় বললে ভারতে নির্বাচন এখানকার থেকে অনেক বেশি ডিজিটাইজড এবং সুবিন্যস্ত। এখানে আমাদের এখনও ব্যালটে ভোটদান করতে হয়। এবং অধিকাংশ প্রদেশে ভোটারদের বৈধতার দিকটি নিশ্চিত করে বুঝতে পারার কোনও বৈধ প্রক্রিয়া নেই।
(মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.