সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে আরও জোরদার হয়েছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির কথা চললেও জারি রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের লড়াই। এর মাঝে চুপ বসে নেই উত্তর কোরিয়াও। নিজেদের সেনার শক্তি বাড়াতে ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষানিরিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং। বানানো হচ্ছে একের পর এক অত্যাধুনিক হাতিয়ার। এবার ড্রোন প্রযুক্তিতে যোজন এগিয়ে গেল কিম জন উনের দেশ। কৃত্রিম মেধাযুক্ত আত্মঘাতী ড্রোনের (এআই সুইসাইড ড্রোন) সফল পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া। আমেরিকাকে চোখ রাঙিয়েই পদক্ষেপ?
গত বছরের আগস্টে মাসে কিমের দেশ এআই প্রযুক্তিতে তৈরি আত্মঘাতী ড্রোন তৈরির দাবি করেছিল। বৃহস্পতিবার সেদেশের সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, সর্বাধিনায়ক কিম বিভিন্ন ধরনের গুপ্তচর ড্রোনের কার্যকারিতা পরখ করে দেখেছেন। ড্রোনে ব্যবহৃত উন্নততর ইলেকট্রনিক জ্যামিং ব্যবস্থাও তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন। তখনই এই আত্মঘাতী ড্রোনের সফল পরীক্ষা করেন কিম। যার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। গত বছর ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলা চালায় কিমের সেনা।
সম্প্রতি অতিবৃহৎ আণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইলের পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং। যা সফলও হয়েছে। ওই একেকটি বোমার ওজন প্রায় ৪.৫ টন। যা বহুদূর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। এবার কিমের হাতে এসেছে কৃত্রিম মেধাযুক্ত আত্মঘাতী ড্রোন। সমর বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে চোখ রাঙিয়ে এই হাতিয়ারগুলো তৈরি করেছেন কিম। গত বছরের ডিসেম্বরে শত্রু দেশে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সাফ বার্তা ছিল, প্রতিপক্ষ যদি পরমাণু অস্ত্রের আস্ফালন করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আক্রমণ শানাতে পিছপা হবে না উত্তর কোরিয়া।
উল্লেখ্য, প্রতিপক্ষকে যোগ্য জবাব দিতে নিজেদের অস্ত্রাগার সম্প্রসারণ করছে উত্তর কোরিয়া। উন্নত যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা চলছে। এর মাঝেই কিমের দেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জাপান, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া। এই ত্রিপাক্ষিক মহড়ার জন্য সাগরে একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করা হয়েছিল। যার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল পিয়ংইয়ংয়ের তরফে। বলে রাখা ভালো, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল তৈরি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন সর্বাধিনায়ক কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা। নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কৌশলগত দিক থেকে ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন কিমের দেশের লক্ষ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.