সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে ভোট দিলেন কানাডাবাসী। সেদেশের নির্বাচনে জিতে আবারও ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে লিবারাল পার্টি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৩৪৩ আসনের পার্লামেন্টে অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির দল। তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আসন জিতে বৃহত্তম দল হওয়ার পথে এগোচ্ছে লিবারাল পার্টি।
কয়েকমাস আগেও কিন্তু কানাডার ক্ষমতাসীন দলের ছবিটা এমন ছিল না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমলে মূল্যবৃদ্ধি, শরণার্থী সমস্যা, খলিস্তানি তাণ্ডবের ঘটনায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল শাসক দল। তারমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দেন, কানাডার উপরে এত কর চাপাবেন যে গোটা দেশটাই আমেরিকার প্রদেশে পরিণত হবে। নির্বাচনের ঠিক আগে তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, কানাডার মানুষের উচিত এমন কাউকে ভোট দেওয়া যিনি মার্কিন করের বোঝা কমাতে পারেন।
জাতীয় নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন হস্তক্ষেপ মোটেই ভালোভাবে নেননি কানাডাবাসী। তাই ‘ট্রাম্পের ছায়া’ বলে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত কনজারভেটিভ নেতা পিয়ের পলিভিয়েরের থেকে দূরে সরে যান কানাডার আমজনতা। ট্রুডোর উত্তরসূরি কারনির প্রতি জনসমর্থন বাড়তে থাকে। একটা সময়ে মনে করা হচ্ছিল কানাডার নির্বাচনে লিবারালদের হার কার্যত সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু কারনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই হাওয়া ঘুরতে থাকে। আর তারই প্রভাব পড়ে কানাডার ভোটবাক্সে। শেষবেলায় ট্রাম্পের বিরোধিতা করেও নিজের দিকে জনসমর্থন টানতে পারেননি পলিভিয়ের।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১০৮টি আসন জিতে ফেলেছে লিবারালরা। আরও ৫৪টি আসনে লিবারাল প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ১০টি আসন এখনও কম রয়েছে তাদের। অন্যদিকে কনজারভেটিভদের দখলে ১০২টি আসন। উল্লেখ্য, মার্ক কারনি এর আগে কোনওদিন নির্বাচনে জেতেননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই দলের হাল ফেরালেন প্রাক্তন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার। তবে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া ট্রুডোর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি দলের এই সাফল্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.