সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন সেনা অভিযানে মারা গিয়েছে স্বামী আবু বকর আল-বাগদাদি। এবার সেই আইসিস (ISIS) নেতার স্ত্রী আসমা ফাওজি মহম্মদ আল-কুবায়সিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল ইরাকের (Iraq) এক আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আইসিসের কার্যকলাপের সঙ্গি জড়িত থাকা ও ইয়াজিদি মহিলাদের বন্দি করার।
তবে আদালত ওই মহিলার নাম নেয়নি। কিন্তু পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম পরে তাকে চিহ্নিত করে বাগদাদির প্রথম স্ত্রী হিসেবে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্রে জানা যাচ্ছে, আদালত রায়ে জানিয়েছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও ইয়াজিদি নাগরিকদের গণহত্যায় জড়িত থাকা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল অভিযুক্তকে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে খতম হয় বাগদাদি। পরের মাসেই সিরিয়া সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসমাকে। তুরস্কের সেনা তাকে আটক করলেও পরে ইরাকের হাতেই প্রত্যর্পণ করা হয় আসমাকে। এবার পশ্চিম বাগদাদের কার্খ অপরাধ আদালত বাগদাদির স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রাণদণ্ডের সাজা শোনাল।
প্রসঙ্গত, মার্কিন ‘ডেল্টা ফোর্স’-এর গোপন অভিযানে খতম হয়েছিল বিশ্বত্রাস আবু বকর আল বাগদাদি। তার আগে কয়েক বছর ধরে বাগদাদির অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করছিলেন ইরাকের গোয়েন্দারা। তাঁদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই বাজিমাত করে মার্কিন ফৌজ। ২০১৪ থেকে ‘১৭ সালের মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করত বাগদাদি। নিজেকে খলিফা বলে দাবি করত ওই জঙ্গি নেতা। পরে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী আইএস-এর অধীনে থাকা এলাকা পুনর্দখল করে। ২০১৪ সালে লেবাননে বাগদাদির এক প্রাক্তন স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে বছরখানেক পর আল কায়দার সঙ্গে বন্দি বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু বাগদাদির মৃত্যুর পরই স্বামী ও পুত্রবধূ-সহ ধরা পড়ে তার বোন রাসমিয়া আওয়াদ। পরের মাসেই গ্রেপ্তার হয় আসমাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.