ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে দিন কাটছে ইমরান খানের। কেটে দেওয়া হয়েছে সেই সেলের বিদ্যুৎ সংযোগও। এমনকী নিজের ছেলেদের সাপ্তাহিক ফোন কলও করতে পারছেন না প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। এমনই অভিযোগ তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথের।
এই মুহূর্তে দুদিনের এসসিও সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে পাকিস্তানে। আর সেই সময়ই এমন অভিযোগ আনলেন জেমাইমা। কাঠগড়ায় তুললেন শাহবাজ শরিফের সরকারকে। ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রী সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘জেলে ব্যক্তিগত পরিদর্শন বন্ধের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ওঁর দুই ছেলে সুলেইমান ও কাসিম খান যাঁরা লন্ডনে থাকেন, তাঁদের সঙ্গে সাপ্তাহিত ফোন কলও করতে দেওয়া হচ্ছে না ১০ সেপ্টেম্বর থেকে। আমরা জানতে পেরেছি ওঁর সেলের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগও কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনও সময়ই সেই সেলের বাইরে যাওয়ার অনুমতিও নেই ওঁর। জেলের রাঁধুনিকেও ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। উনি একাকী বন্দি রয়েছেন। একেবারে অন্ধকারে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ওঁর আইনজীবীরা ওঁর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’
In the last few weeks there have been serious and concerning developments regarding my sons’ father, Imran Khan’s treatment in prison. The Pakistan authorities have stopped all visits to him by his family and his lawyers. They have also postponed all court hearings. In addition…
— Jemima Goldsmith (@Jemima_Khan) October 15, 2024
গত বছরের ৫ আগস্ট তোষাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইমরান। প্রথমে তাঁর ঠাঁই হয়েছিল পাঞ্জাব প্রদেশের অটোক জেলে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে। একাধিকবার কারাগারে তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা করেছেন ইমরানের পরিবার ও সমর্থকরা। এদিকে ইমরান আগেই অভিযোগ করেছিলেন, জেলে তাঁর সঙ্গে ‘জঙ্গি’দের মতো আচরণ করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের যে সেলে রাখা হয় সেরকমই এক কুঠুরিতে রাখা হয়েছে তাঁকে। এবার একই অভিযোগ করতে দেখা গেল তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকেও।
এদিকে জেমাইমার আরও অভিযোগ, কেবল ইমরান নয়, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও হেনস্তা করা হচ্ছে। তাঁর এক ভাগ্নে হাসান নিয়াজি যিনি একজন সাধারণ পাক নাগরিক, তাঁকে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে সেনার হেফাজতে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি ইমরানের দুই বোন ইজমা ও আলিমা খানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই দুজন বরাবরই দাদার গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব ছিলেন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোর সময়ই তাঁদের আটক করে পুলিশ। এই মুহূর্তে তাঁরাও জেলে রয়েছেন। জেমাইমার দাবি, তাঁদের গ্রেপ্তারির কোনও আইনি ভিত্তিই নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.