পরনে কমব্যাট ফোর্সের পোশাক, মস্কোর প্রেক্ষাগৃহে গুলিবৃষ্টি দুষ্কৃতীদের, নিহত অন্তত ১০

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুতিন পঞ্চমবারের ক্ষমতা আসার পরই বড়সড় হামলার মুখে রুশ রাজধানী মস্কো (Moscow)। শুক্রবার মস্কোর ভরা প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে গুলিবৃষ্টি (Open fire)করল বন্দুকবাজের দল। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ হারালেন অন্তত ১০ জন। আহত আরও অনেকে। রুশ সংবাদ সংস্থা TASS সূত্রে খবর, হলে অনুষ্ঠান চলাকালীন কমব্যাট ফোর্সের পোশাক পড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ভিতরে ঢোকে তিনজন বন্দুকবাজ (Gunmen)। দর্শকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। একে একে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। সপ্তাহান্তে রাশিয়ার রাজধানীতে এমন হামলার ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের পরিবেশ। সোশাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে হামলা পরবর্তী পরিস্থিতির ছবি।

Massive terrorist attack in Moscow. Huge fire can be seen over a building believed to be a theatre or a club. Reportedly 12 dead and 44 injured as per early reports. US had issued a warning about a terror attack few days ago. More details awaited. pic.twitter.com/m1LELLBegD

Advertisement

— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) March 22, 2024

আরও পড়ুন:

• রাশিয়ায় তৈরি ক্যানসারের টিকা! আগামী বছর থেকেই বিনামূল্যে বিতরণের দাবি মস্কোর
• আপাতত লাগু নয় বিতর্কিত হিজাব আইন, সংস্কারপন্থী পেজেস্কিয়ানের ছোঁয়ায় ‘খোলা হাওয়া’ ইরানে?

শুক্রবার সন্ধেবেলা মস্কোর ক্রকার্স সিটি হলে অনুষ্ঠান চলছিল। কমব্যাট ফোর্সের (Combat Force) পোশাক পরে তিনজন হলে ঢুকে পড়ে আচমকা হামলা চালায়। অনুষ্ঠানে আনন্দের রেশ ছিন্নভিন্ন হয়ে নিমেষে তা শোক আর আতঙ্কের পরিবেশে বদলে যায়। শুধু গুলিচালনাই নয়। রুশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ক্রকার্স হলে ঢোকার আগে তারা ওই বিল্ডিংয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। অর্থাৎ পরিকল্পনামাফিক বড়সড় হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

❗️Terror attack in Moscow.
About 100 people were blocked by fire in “Krokus”, – rosZMI

Russians kill Russians 🔥 pic.twitter.com/FLOMVbdVyl

— Jürgen Nauditt 🇩🇪🇺🇦 (@jurgen_nauditt) March 22, 2024

হামলার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ। তবে কারা এমন ভয়াবহ হামলা চালাল, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি বলে খবর। পুতিন বিরোধী কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর কাজ হতে পারে, অথবা উঠতি কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনও থাকতে পারে এর পিছনে। কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। 

[আরও পড়ুন: ৭ দিনের ইডি হেফাজতে কেজরিওয়াল, আরও চাপে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী]