Advertisement
Advertisement
Bangladesh

প্রথমবার যৌথ সামরিক মহড়ায় চিন-বাংলাদেশ, কী প্রতিক্রিয়া দিল্লির?

বাংলাদেশে যাচ্ছে চিনের সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল।

China and Bangladesh army to hold first military exercise
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 27, 2024 5:07 pm
  • Updated:April 27, 2024 5:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার একসঙ্গে সামরিক মহড়া করতে চলেছে চিন ও বাংলাদেশ। এবার সামরিক ক্ষেত্রেও ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে বেজিং। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে ঢাকায় আনাগোনা বেড়েছে চিনা আধিকারিকদের। ফলে বন্ধুদেশের উপর কতটা প্রভাব বিস্তার করছে ‘ড্রাগন’ সেদিকেই তীক্ষ্ণ নজর রাখছে নয়াদিল্লি।

চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী মে মাসের গোড়ায় যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে চিন ও বাংলাদেশে। এনিয়ে চিনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান জানিয়েছেন, মে মাসে পিপলস লিবারেশন আর্মির একটি দল ঢাকায় যাচ্ছে। দুদেশের বাহিনী একসঙ্গে মহড়ায় অংশ নেবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বেজিং-ঢাকা সহযোগিতার পরিসর এবং ব্যবহারিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, যৌথ এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘চিন-বাংলাদেশ গোল্ডেন ফ্রেন্ডশিপ ২০২৪’। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: বেপরোয়া গতির বলি, আমেরিকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ৩ ভারতীয়!]

কূটনীতিকদের মতে, বাংলাদেশের উপর চিনের প্রভাব বিস্তার মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না ভারত। দুদেশের বন্ধুত্ব আগামিদিনে কোন পর্যায়ে যায় সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে নয়াদিল্লি। তাই নাম না করলেও এই সামরিক মহড়া নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কেন্দ্র। সাংবাদিক বৈঠক করে বিদেশমন্ত্রকের মুখোপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশ অথবা অন্য যে কোনও প্রান্তের সব ঘটনার উপরেই আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে।” 

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বার্তা দিয়েছিলেন ঢাকার সঙ্গে একযোগে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে কাজ করার। তার পর থেকেই বাংলাদেশকে কাছে টানতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে বেজিং। আর গোটা ঘটনাপ্রবাহের উপর নজর রয়েছে ভারতের। কারণ মুখে চিন যাই বলুক না কেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প আসলে ফাঁদ বলেই মনে করেন অধিকাংশ বিশ্লেষক। পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে ঋণের ফাঁদ পেতেছে কমিউনিস্ট দেশটি। ভারত বরাবর এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে। কারণ, চিনা প্রকল্পের একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে।

[আরও পড়ুন: আমেরিকায় ফিরল ফ্লয়েডের স্মৃতি, মার্কিন পুলিশের হাঁটুর চাপে প্রাণ গেল কৃষ্ণাঙ্গের!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement