নিজস্ব চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় (Gaza) ইজরায়েলি সেনার ‘গণহত্যার’ প্রতিবাদে উত্তাল আমেরিকার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ‘বন্ধু’ আমেরিকার মাটিতে এহেন ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর কথায়, ১৯৩০র দশকে জার্মানিতে যেভাবে ইহুদিবিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছিল সেটাই আবার ফিরে আসছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।
গত অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলের (Israel) ফৌজ। জঙ্গি হামাসকে নিঃশেষ না করে অভিযান শেষ হবে না বলে সাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। তবে হামাস জঙ্গি ছাড়াও এই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রসংঘ-সহ একাধিক দেশ এই অভিযানের নিন্দা করেছে। ইজরায়েলি সেনার অভিযানকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশ। এমনকি গাজায় হামলা নিয়ে ইজরায়েলকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মার্কিন (USA) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তবে নিজের লক্ষ্যে অবিচল নেতানিয়াহু।
এহেন পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে ইজরায়েলের জন্য বিরাট অঙ্কের সামরিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। তার পর থেকেই সেদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে প্যালেস্টাইনপন্থীদের প্রতিবাদ। মার্কিন সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার থেকে শুরু করে গাজায় যুদ্ধবিরতি- নানা দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে টেক্সাস, ইয়েল, ম্যাসাচুসেটস, মিশিগানের মতো একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। ক্লাস বয়কটের ডাকও দিয়েছেন পড়ুয়ারা। প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন শতাধিক।
তবে শিক্ষাঙ্গনের এই প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ বলে দেগে দিয়েছেন ইজরায়েলপন্থী পড়ুয়ারা। সেই সুরই শোনা গেল নেতানিয়াহুর গলায়ও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে হিটলারের ইহুদিবিদ্বেষের সঙ্গে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদকে তুলনা করেছেন তিনি। নেতানিয়াহুর কথায়, “আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যা হচ্ছে সেটা ভয়ংকর। ইহুদিবিদ্বেষীরা ক্যাম্পাসের দখল নিয়েছে। ১৯৩০ দশকে জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। এসব দেখে গোটা বিশ্বের চুপ থাকা উচিত নয়।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকার প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.