প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে অতিকায় এক গ্রহাণু। আকারে সে তাজমহলের দ্বিগুণ! নাসা জানিয়েছে, আগামী ২৬ মার্চ সেটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে। এটিকে ‘নিয়ার আর্থ অ্যাস্টরয়েড’ তথা NEA হিসেবে ধরা হচ্ছে। সংঘর্ষের সম্ভাবনা কতটা?
জানা যাচ্ছে, গ্রহাণুটির নাম ‘অ্যাস্টরয়েড ২০১৪ টিএন১৭’। গতিবেগ ৭৭ হাজার ২৮২ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ব্যাস প্রায় ৫৪০ ফুট। আকারে যা তাজমহলের দ্বিগুণ। ২৬ মার্চ ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৫টা ৪ মিনিটে সেটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে। কিন্তু এই ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমই থাকে। যদিও কখনও কখনও অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা আচমকাই অনেকটা কাছে চলে আসে। তবে এই গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব ১.৩ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল মাইলের মধ্যে থাকায় এটিকে ‘নিয়ার আর্থ অ্যাস্টরয়েড’ তথা NEA হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবুও বিজ্ঞানীদের ধারণা, শেষপর্যন্ত পৃথিবীর সঙ্গে এই গ্রহাণুটির ধাক্কা লাগার কোনও সম্ভাবনাই নেই। আমাদের গ্রহটির থেকে ৫ মিলিয়ন কিলোমেটিরা দূর দিয়েই চলে যাবে সেটি। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের ১৩ গুণ দূরত্ব দিয়ে সেটি পৃথিবীকে টপকে মিশে যাবে অন্তরীক্ষের অনন্ত অন্ধকারে।
কিন্তু যদি এমন আকারের কোনও গ্রহাণু সত্যিই একদিন আছড়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সত্যিই ৫৪০ ফুট ব্যাসের কোনও গ্রহাণু আছড়ে পড়লে কয়েকশো পরমাণু বোমা ফাটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। এমনই ধ্বংসলীলা শুরু হবে যা চলবে পরবর্তী কয়েক বছর ধরে। বহু বছরের জন্য পৃথিবীর আবহাওয়ার চেহারাই বদলে যাবে। ধ্বংস হয়ে যাবে গ্রহের বহু অংশ। বিপুল প্রাণহানিতে পৃথিবী পরিণত হবে এক শ্মশানে।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.