Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pope Francis

নাইটক্লাবের বাউন্সার থেকে পোপ হওয়ার যাত্রা কেমন? ছবিতে রইল ফ্রান্সিসের জীবনের গল্প

জীবনে প্রেম এলেও সেদিকে এগোতে পারেননি পোপ ফ্রান্সিস।

১১

৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা বিশ্বে। প্রথম অ-ইউরোপীয় হিসাবে পোপ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

১১

১৯৩৬ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে জন্ম হর্হে মারিও বের্গোগলিওর, যিনি পরবর্তীকালে গোটা বিশ্বে পরিচিত হবেন পোপ ফ্রান্সিস নামে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন জ্যেষ্ঠতম। ইটালি থেকে আর্জেন্টিনা পাড়ি দিয়েছিল তাঁর পরিবার।

১১

কেমিক্যাল টেকনিশিয়ান হিসাবে ডিপ্লোমা অর্জন করেন মারিও। বেশ কয়েকবছর কাজ করেন একটি খাদ্যপ্রস্তুতকারী সংস্থায়। নাইটক্লাবের বাউন্সার এবং সাফাইকর্মী হিসাবেও কাজ করেছেন।

১১

মাত্র ২১ বছর বয়সে গুরুতর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন মারিও। তার জেরে ফুসফুসের একটি অংশ বাদ পড়ে যায় তাঁর। একটা সময়ে প্রেমেও পড়েছিলেন, যাজকত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন।

১১

২২ বছর বয়সে এক গির্জার যাজককে দেখে খ্রিস্টধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন মারিও। ১৯৬০ সালে ধর্মীয় পড়াশোনা শেষ করে যাজক হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি।

১১

জেসুইট যাজক হিসাবে ১৯৬০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কাজ করেছেন মারিও। বুয়েনস আইরেসের আর্চবিশপ হন ১৯৯৮ সালে। তিনি পোপ হওয়ার পথে একধাপ এগোন ২০০১ সালে। মারিওকে কার্ডিনাল হিসাবে অভিষিক্ত করেন পোপ দ্বিতীয় জন পল।

১১

২০০৫ সালে মৃত্যু হয় পোপ দ্বিতীয় জন পলের। পরবর্তী পোপ হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ষোড়শ বেনেডিক্টকে। সেই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন মারিও।

১১

২০১৩ সালে আচমকাই ইস্তফা দেন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। পোপ হিসাবে বেছে নেওয়া হয় মারিওকে। প্রথা অনুযায়ী, পোপ হওয়ার পরে তাঁর নতুন নাম হয় ফ্রান্সিস, ইটালির বিখ্যাত সন্ত ফ্রান্সিস অফ অ্যাসিসির নামে।

১১

পোপ হিসাবে একাধিক ছকভাঙা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফ্রান্সিস। শেষকৃত্যের একাধিক নিয়ম বদল আনেন। প্রকাশ্যে LGBTQদের নিন্দা করতেও দেখা যায়নি তাঁকে।

১০ ১১

পোপ হওয়ার পরেই টাইমস ম্যাগাজিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির তকমা পান তিনি। গাজা থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-সংঘর্ষ থামানোর পক্ষে বারবার সওয়াল করেছিলেন। সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তাঁর উদার মানসিকতার জন্য।

১১ ১১

অসুস্থতার জন্য জীবনের শেষ গুড ফ্রাইডের উপাসনা করতে পারেননি। অশক্ত শরীরেই ইস্টারের বিশেষ জমায়েতে হাজির হন। সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পোপ ফ্রান্সিসের জীবনাবসান।