ছবি: নরেন্দ্র মোদির সোশাল মিডিয়া।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিকে ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশন ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ভারতের স্বপ্নিল কুশলে। তার পর কর্মস্থলে পদোন্নতি হয়। মহারাষ্ট্র সরকার থেকেও তাঁর জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন স্বপ্নিলের বাবা। বরং হরিয়ানার তুলনা টেনে মহারাষ্ট্র সরকারের থেকে ৫ কোটি টাকা ও একটা ফ্ল্যাট দাবি করছেন তিনি।
প্যারিসে সাফল্যের পর রাতারাতি বদলে যায় ক্রীড়াবিদের জীবন। ব্রোঞ্জ জেতার পর রেলে ডবল প্রমোশন হয় স্বপ্নিলের। ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার থেকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি হয়েছেন তিনি। মহারাষ্ট্র সরকার থেকে তাঁকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার কথাও ঘোষণা করা হয়। যদিও স্বপ্নিলের বাবা সুরেশ কুশলের দাবি, “হরিয়ানা সরকার সব পদক বিজেতাকেই ৫ কোটি টাকা করে দিচ্ছে। মহারাষ্ট্র সরকারের নতুন নীতিতে ব্রোঞ্জ পদক বিজেতারা ২ কোটি টাকা পাবে।”
তাঁর প্রশ্ন, “স্বপ্নিল এই রাজ্য থেকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে দ্বিতীয় পদক বিজেতা। এত বছরে যেখানে মাত্র দুজন পদক বিজেতা রয়েছে, সেখানে ব্রোঞ্জ পেলে কেন মাত্র ২ কোটি টাকা দেওয়া হবে? অথচ আমাদের সরকার ঘোষণা করেছে সোনা জিতলে ৫ কোটি ও রুপো জিতলে ৩ কোটি দেওয়া হবে। স্বপ্নিল সাদামাটা ঘর থেকে উঠে এসেছে বলেই কি এই বৈষম্য? ও যদি আজ বিধায়ক বা মন্ত্রীর ছেলে হত, তাহলেও কি পুরস্কার এটাই থাকত? যদি জানতাম এরকম বৈষম্য থাকবে, তাহলে ছেলেকে অন্য কোনও খেলায় কেরিয়ার তৈরি করতে বলতাম।” এর আগে ১৯৫২ সালে মহারাষ্ট্র থেকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে পদক জিতেছিলেন কেডি যাদব।
সেই সঙ্গে তাঁর বাবার দাবি, “স্বপ্নিলের ৫ কোটি টাকা পুরস্কার পাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে পুণের বালেওয়াড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাছে একটা ফ্ল্যাট চাই। যেখান থেকে ও সহজে প্র্যাকটিসে আসতে পারবে।” তবে সুরেশ কুশলের দাবি নিয়ে অন্য মতও রয়েছে। কারণ হরিয়ানা সরকার সবাইকে ৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না। সেখানে সোনাজয়ীরা ৬ কোটি, রুপোজয়ীরা ৪ কোটি ও ব্রোঞ্জজয়ীরা ২.৫ কোটি পেয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.