ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্ত কিছু পরিকল্পনা মতো হচ্ছিল। পরিবারের থেকে টাকা হাতাতে নিজেকেই অপহরণের ছক কষেছিল যুবক! সেই মতো মুক্তিপণ চেয়ে মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। এমনকি পাঠানো হয় ভিডিও। কিন্তু একটা ভুল বানানেই ভেস্তে গেল সব কিছু। পুলিশের কাছে ধরা পড়ে গেল বছর সাতাশের সেই যুবক। ব্যাপারটা ঠিক কী?
জানা গিয়েছে, এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বানদারাহা গ্রামের। সঞ্জয় কুমার নামে এক কন্ট্রাক্টর স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর মোবাইলে অচেনা নম্বর থেকে একটি মেসেজ এসেছে। ইংরেজিতে লেখা, তাঁর ভাই সন্দীপকে অপহরণ করা হয়েছে। ৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাঁকে খুন করা হবে। মেসেজের পাশাপাশি সঞ্জয়ের মোবাইলে ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আসে। যেখানে দেখা যায়, দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় রয়েছে সন্দীপ। চিন্তিত অবস্থায় সঞ্জয় পুলিশকে আরও জানান যে, কারও সঙ্গে তাঁর শত্রুতা নেই।
এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। সঞ্জয়ের মোবাইলে আসা মেসেজটি ভালো করে খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই ধীরে ধীরে সবটা পরিষ্কার হয় পুলিশের কাছে। এনিয়ে পুলিশ সুপার নীরজ কুমার সংবাদমাধ্যমে জানান, “ইংরেজিতে পাঠানো ওই মেসেজে death বানান ভুল ছিল। লেখা ছিল ‘deth’। যা দেখে বোঝা যায়, অপহরণকারীরা খুব বেশি শিক্ষিত নয়। আর অপহরণকারীরা মাত্র ৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। এটাই আরও বেশি করে ভাবায় আমাদের।” এরপর সন্দীপের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ। দেখা যায়, সে রুপাপুরে রয়েছে। সেখানে পৌঁছে পুলিশ দেখে তার আশপাশে কোনও অপহরণকারী নেই। এরপরই পুলিশ সন্দীপকে মুক্তিপণের মেসেজ লেখার কথা বলে। সন্দীপ ‘death’ বানান ‘deth’ লেখে। এতেই ধরা পড়া যায় সে।
কিন্তু মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য কেন এই ফন্দি আঁটলেন সন্দীপ? পুলিশ জানিয়েছে, মির্জাপুরে একটি কারখানায় কাজ করে সন্দীপ। গত ৩০ ডিসেম্বর তার বাইকের ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হন। ওই ব্যক্তি আঘাত লাগার কারণে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। সেই ক্ষতিপূরণ দিতেই দাদার কাছে অপহরণের গল্প বলে সে। এমনকী‘সিআইডি’ দেখে এই পরিকল্পনা করে সে। ইতিমধ্যেই সন্দীপকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.