অনলাইন গেমেই প্রিয়জনকে খুঁজে পেলেন শান্তিপুরের যুবক। নিজস্ব চিত্র
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: খেলতে-খেলতে প্রেম! অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম। পাঁচবছরের সেই সম্পর্ক এবার পরিণতি পেল। অনলাইনের গেম খেলার সঙ্গীকেই বিয়ে করলেন শান্তিপুরের মোবাইলের দোকানের এক কর্মী।
অভ্যাসটা শুরু হয়েছিল লকডাউনের সময়। সময় কাটাতে অনলাইনে গেম খেলতে শুরু করেছিলেন সুব্রত বিশ্বাস। তিনি শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন এক মোবাইলের দোকানের কর্মী ছিলেন। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েন সুব্রত। সেই অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে পরিচয় হয়েছিল একটি মেয়ের সঙ্গে। সন্তোষপুর গার্ডেনরিচের বাসিন্দা প্রীতি প্রামাণিকের কণ্ঠস্বরে মুগ্ধ হয়ে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেছিলেন সন্তোষ। সেখানে নম্বর বিনিময়। শুরু কথা বলা। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব এবং প্রেম। যার পরিণতি এই বিয়ে।
প্রীতিরাও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নয়। বাবা পেশায় ভ্যানচালক। বাড়িতে রয়েছে ছোট ভাই এবং মা। সেই সময় দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়লেও আর্থিক অনটনের জন্যই প্রীতিকে পরিচারিকার পেশা বেছে নিতে হয়েছিল। পরে আর পড়াশোনা হয়নি। সম্পর্ক আরেকটু গভীর হওয়ার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পালিয়ে বিয়ে করার। কিন্তু পরিবারকে বোঝানোর পরে তাঁরাও দুজনের সম্পর্ক মেনে নেয়। শুক্রবার এক করে দেয় চার হাত। আজ, রবিবার তাঁদের বউভাত।
সুব্রত এবং প্রীতি জানাচ্ছেন, বর্তমানে সংসার এবং কাজের চাপে আর গেম খেলা হয় না। তবে গেমের যেমন ভালোদিক রয়েছে তেমন মন্দদিকও রয়েছে। তাই বাচ্চাদের মোবাইল গেম খেলতে বারণ করলেন। সঙ্গে মজার ছলে জানালেন, যেসব ছেলেরা এখনও অবিবাহিত তাঁরা দিনে সময় বের করে গেম খেলে দেখতেই পারেন, কে বলতে পারে, ভাগ্য ভালো থাকলে হয়তো সেখান থেকে পেয়ে যেতে পারেন নিজের প্রিয়জনকে ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.