সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই স্ত্রী। এক স্বামী। অভিযোগ, প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়েই ‘ভালোবাসার টানে’ দ্বিতীয় সংসার পাতেন যুবক। এর ফল ভালো হয়নি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। শেষে সমঝোতার পথে হেঁটে সিদ্ধান্ত হয়—দুই স্ত্রীর মধ্যে ভাগাভাগি হবে স্বামীর ভালোবাসা। কীভাবে? সপ্তাহের সাত দিনকে তিন টুকরো করা হবে। প্রথম তিন দিন প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন যুবক। বাকি তিন দিন থাকবেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে। সপ্তম তথা শেষ দিনটি নিজের মতো কাটাতে পারবেন অভিযুক্ত স্বামী। ভালোবাসার এই ভাগভাগিতে কি সমস্যা মিটল?
এই ঘটনা বিহারের পূর্ণিয়ার। প্রথম পক্ষের স্ত্রী রূপাউলি থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না তিনি। উলটে প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে না জানিয়েই অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন ওই ব্যক্তি! বিষয়টি বিহার পুলিশের পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রে পৌঁছয়।
পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রে দুই স্ত্রীর উপস্থিতে দোষ স্বীকার করেন যুবক। তখনই জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও এক সন্তান রয়েছে ওই ব্যক্তির। পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রের সদস্যদের কাছে তিনি জানান, প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরতে চাইলেও দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁকে বাধা দেন। দুজনের এই নিয়ে মধ্যে তুমুল ঝগড়া বাধে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি কী করবেন, তা বুঝতে পারছিলেন না। তাহলে উপায়?
পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রের হুঁশিয়ারিতে সমঝোতায় রাজি হন দুই মহিলা। তাঁদের জানানো হয়, যুবক যা করেছেন, তাতে করে তাঁর জেল পর্যন্ত হতে পারে। এর পরেই স্বামীকে ভাগভাগি করে নেওয়ায় বিষয়ে সহমত হন ওঁরা। প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে চার দিন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তিন দিন থাকবেন স্বামী। তাতে দুই স্ত্রীর মধ্যে আবার ঝগড়া বেধে যায়। শেষে সিদ্ধান্ত হয়, দুই স্ত্রীর কাছেই তিন দিন করে থাকবেন স্বামী। সপ্তম দিনটি নিজের ইচ্ছা মতো ‘বিশ্রাম’ বা যে কোনও একজনের সঙ্গে কাটাতে পারবেন তিনি। পাশাপাশি পরিবার পরামর্শ কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তানের পড়াশোনা এবং ভরণপোষণের জন্য মাসে ৪০০০ টাকা করে দিতে হবে যুবককে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.