সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর রবিবার রাতে তারাদের দেশে পাড়ি দিয়েছে চারপেয়ে সেলিব্রিটি সন্টু। জানা গিয়েছে, টিক বাহিত রোগ ব্যাবেসিয়া আক্রান্ত হয়েছিল সে। চিকিৎসা করা হলেও লাভ হয়নি। একই রোগে আক্রান্ত নয় তো আপনার প্রিয় পোষ্যটি? সতর্ক ও সাবধান হন এখনই।
মরশুম পরিবর্তনের সময় সকলেরই সর্দি, কাশি লেগেই থাকে। প্রাণীকুলের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একইরকম। সেই সঙ্গে এই সময়টায় দাপট দেখায় পোকা। বিশেষ এক ধরনের পোকার কামড়ে জ্বরে আক্রান্ত হয় চারপেয়েরা। বলা হয়, টিক ফিভার। সেইসঙ্গে দ্রুত গতিতে শরীরে বাড়তে থাকে পোকার সংখ্য়া। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার, কিডনি। পরজীবীর সংক্রমণে শুধু জ্বর নয়, ব্যাবেসিয়া, অ্যানাপ্লাজমা-সহ একাধিক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে যা কেড়ে নিতে পারে প্রাণও। ঠিক যেমনটা হয়েছে সন্টুর ক্ষেত্রে।
কীভাবে সতর্ক হবেন? মূলত পথকুকুরদের শরীর থেকেই মানুষের জুতোয় এই পোকা ঢুকে পড়ে চার দেওয়ালের মধ্যে। যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে আপনার প্রিয় পোষ্যের গায়ে। তবে চারপেয়েকে বাইরে নিয়ে গেলেও আসতে পারে টিক। এক্ষেত্রে প্রথমে মাথায় রাখবেন, পোষ্যকে সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাইরে থেকে এলেই থাম্ব প্যাড পরিষ্কার করতে হবে। নখের চারপাশেও অনেক সময় পোকা থাকে। সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য বাজারে বহু স্প্রে পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ শ্যাম্পুও। বাজারে এক ধরনের ‘টিক কলার’ পাওয়া যায়। যা গলায় পরিয়ে রাখলে আপনার অজান্তেই পোষ্যের শরীর থেকে ভ্য়ানিশ হয়ে যায় পোকা। তবে এর মেয়াদ ৯ মাস থেকে ১ বছর। তারপর এই বেল্টটি আর কাজ করে না। এছাড়া রয়েছে স্পট অন। এটি একধরনের ওষুধ। যা পোষ্যের ঘাড় থেকে লেজের শুরুর পর্যন্ত শিরদাড়া বরাবর টেনে দিতে হয়। তাতেও কয়েকদিনের মধ্যে উধাও হয় পোকা। তাতেও কাজ না হলে ব্যবহার করতে হবে ওষুধ। তবে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.