কিশোর ঘোষ: প্রিয়জনকে লক্ষ, কোটি টাকার আংটি দেওয়ার সাধ্য সকলের নেই। সেই কারণেই বুঝি আকাশে মাঝে মাঝে ‘হিরের আংটি’ পাঠায় সূর্য। সবার জন্য। যেমনটা বলেছিলেন কবির সুমন। আর সেই মাহেন্দ্রক্ষণকে রূপকথার মতো সুন্দর করে তুললেন আমেরিকার (America) টেক্সাসের বাসিন্দা যুবক-যুবতী। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের নিচে দাঁড়িয়ে বান্ধবী অস্টিনকে প্রেম নিবেদন করলেন অ্যালেক্স। হাঁটু মুড়ে বসে অস্টিনের আঙুলে পরালেন তুলনায় কম দামি রিং। তাকে কী! আকাশে তখন সূর্যের পাঠানো হিরের আংটি!
ইউক্রেন-রাশিয়া, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ, পৃথিবীর একাধিক দেশের গৃহযুদ্ধ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মসনদ দখলে রাখার মরিয়া চেষ্টায় মিথ্যাচার, ধর্ম, জাতপাতের নামে হত্যা, ধর্ষণের মতো অসভ্যতার মধ্যেই আকাশে অমূল্য হিরের আংটি এসেছিল ৮ এপ্রিল, মঙ্গলবার বারবেলায়। চাঁদ সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে যখন, তখনই হয় সূর্যগ্রহণ। যদি চাঁদ সম্পূর্ণ ঢেকে দেয় সূর্যকে সেক্ষেত্রে হয় পূর্ণগ্রাস। যা দেখা গিয়েছে পশ্চিম ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকার একাংশ, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক ও মেরুপ্রদেশে।
মহাজাগতিক সেই মুহূর্তকে পবিত্র ভালোবাসায় রং দিয়ে সাজালেন অস্টিন ও অ্য়ালেক্স। সম্পর্কের সূত্রপাত ২০১৬ সালে। প্রথম তিন বছর বন্ধুত্ব। তার পর প্রেম। মঙ্গলবার গোটা জীবন একসঙ্গে থাকার শপথ নিলেন ওঁরা। বিশেষ মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখলেন। টেক্সাসের মুরাল পার্কের গ্রাপেভাইন হ্রদের জলের রং তখন হঠাৎ বদলাতে শুরু করেছে। দিনেই নামছে রাত! অস্টিনের পায়ের কাছে হাঁটু মুড়ে বসলেন অ্যালেক্স। যেন বা সূর্যের পাঠানো হিরের আংটিই পরিয়ে দিলেন প্রেয়সীর কোমল আঙুলে। এর পর গভীর চুম্বনে ডুবলেন ওঁরা। ফের আলোকিত হল চারপাশ।
ওই মুরাল পার্কে সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা ম্যাসি অ্য়ালেক্স এক মুহূর্তও দেরি করেননি। ক্যামেরা ক্লিক করে তুলে নেন টলি-বলি-হলির সিনেমার স্ক্রিপ্টকে ছাপিয়ে যাওয়া অপূর্ব ছবি। শেযার করেন সোশাল মিডিয়ায়। যা ভাইরাল হয়েছে গোটা বিশ্বে। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের নিচে দাঁড়িয়ে অস্টিন ও অ্যালেক্সের আজীবন সঙ্গী হওয়ার শপথদৃশ্য দেখে মুগ্ধ নেটপাড়া। সকলেই বলছেন, জীবন কেবল বেঁচে থাকার যুদ্ধ নয়, ভালোবাসার শান্তিও বটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.