ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: সর্বভারতীয় বোর্ড থেকে রাজ্য বোর্ডে ফেরার প্রবণতা বাড়ছে পড়ুয়াদের। দশম শ্রেণি পাস করার পর সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের বহু ছাত্রছাত্রী একাদশে ভর্তি হয়েছে রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
রাজ্যের বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলি থেকে সর্বভারতীয় ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়ারা ভর্তি হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীরা অভিযোগ করছে। এক লহমায় এই অভিযোগকে নসাৎ করে দিচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক পরিসংখ্যান। সংসদ সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের মাধ্যমিকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজারের কিছু বেশি পড়ুয়া পাস করেছে। অথচ দেখা যাচ্ছে, একাদশে রেজিস্ট্রেশন করেছে ৭ লক্ষ ৬৯ হাজারের বেশি। অর্থাৎ, চলতি বছরেই প্রায় ২০ হাজারের বেশি সর্বভারতীয় বোর্ডের পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে রাজ্য বোর্ডে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি শিক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। ভারতের মধ্যে প্রথম আমরা স্কুল বোর্ডে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করেছি। এই নয়া পদ্ধতিতে আকৃষ্ট হয়ে অন্যান্য বোর্ড থেকে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।” জানা গিয়েছে, কলকাতার স্কুলগুলিতে সবচেয়ে বেশি ভর্তি হয়েছে সর্বভারতীয় সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের পড়ুয়ারা। প্রায় সাড়ে চার হাজার।
কেন এই নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে চলেছে? এ নিয়ে শিক্ষকমহল মনে করছে, রাজ্য বোর্ডের পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠক্রম পরিবর্তন করে অনেক বেশি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত হয়েছে। পঠনপাঠনের ধরনও রাজ্য বোর্ডে অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তাছাড়া সর্বভারতীয় বোর্ডের পঠনপাঠন হওয়া, বিশেষ করে সিবিএসই বোর্ডের খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। রাজ্যের আইসিএসই বোর্ডের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল অনেক বেশি। সেই জায়গায় রাজ্যের সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও পোষিত স্কুলগুলির খরচ নামমাত্র। তাতেই ধীরে এই পরিবর্তন ঘটে চলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.