Advertisement
Advertisement

Breaking News

C V Ananda Bose

মুখ্যমন্ত্রীকে ‘সামাজিকভাবে বয়কটে’র সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের, পালটা জবাব কুণালের

বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও বার্তায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

WB Guv C V Ananda Bose socially boycott Mamata Banerjee
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 12, 2024 11:47 pm
  • Updated:September 12, 2024 11:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠক নিয়ে বেনজির টানাপোড়েন। তারই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ‘সামাজিকভাবে বয়কটে’র সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও বার্তায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালকে আবার পালটা বিঁধলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

এদিন ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্যপাল হিসাবে আমি মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি না। বাংলার সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে আমি স্থির করেছি, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও সরকারি মঞ্চে থাকব না। কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যুক্ত থাকলে, সেখানে আমি থাকব না।” তিনি আরও বলেন, “আমার মতে, সমাজের ও নির্যাতিতার বাবা-মায়ের ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সত্যিটা মুছে ফেলতে পারে না। আপনি কাউকে কাউকে কখনও কখনও বোকা বানাতে পারেন, কিন্তু সবাইকে সবসময় বোকা বানাতে পারবেন না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ওরা বিচার নয়, চেয়ার চায়, আমি পদত্যাগেও রাজি’, ডাক্তারদের মানুষের কথা মনে করালেন মমতা]

রাজ্যপালের মতে, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। রাজ্যে আইনের শাসন বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তিনিই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সকলকে রক্ষা করার বদলে, প্রতিবাদে নেমেছেন।” কেন এখনও পর্যন্ত কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সে প্রশ্নও তোলেন। বলেন, “মানুষ দাবি জানাচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি পদক্ষেপ করা উচিত।”

পালটা আবার রাজ্যপালকে বিঁধেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে কুৎসিত অভিযোগগুলি রয়েছে, তাতে তো তাঁকেই সামাজিক ভাবে বয়কট করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বলেছেন, তিনি রাজভবনে একা যাবেন না। ১৫ আগস্ট সাংবিধানিক সৌজন্যের জন্য রাজভবনে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেননি। খোলা বারান্দায় অন্য সকলের সঙ্গে বসেছিলেন। রাজ্যপালের সঙ্গে দূরত্ব রেখেছেন। রাজ্যপাল এই কথাগুলি বলতে পারেন না। তিনি সামাজিকভাবে বয়কট হচ্ছেন বলেই এই কথাগুলি বলছেন।”

[আরও পড়ুন: ‘বিচারাধীন বিষয়’, নবান্নে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তিতে ‘সুপ্রিম’ যুক্তি মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement