অর্ণব আইচ: ট্যাংরা হত্যাকাণ্ডে রহস্যের জট যেন পরতে পরতে খুলছে! এবার স্ত্রী ও বউদিকে নিজে হাতে খুনের কথা স্বীকার করল দে পরিবারের ছোট ছেলে প্রসূন। পুলিশের জেরার মুখে পড়ে সে খুনের পদ্ধতিও জানাল। হাতের শিরা কেটে, মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তবেই বাড়ির দুই বউ – রোমি ও সুদেষ্ণার মৃত্যু নিশ্চিত করে প্রসূন। নাবালক ভাইপোকেও খুনের চেষ্টা হয়েছিল, তবে তা ব্যর্থ হওয়ায় তাকে সঙ্গে নিয়েই সেই রাতে পথে বেরিয়ে পড়েছিল প্রণয়, প্রসূন। শুক্রবার প্রসূনকে জেরা করে এই সমস্ত তথ্য পেয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।
ট্যাংরার দে পরিবারে তিন নারীর হত্যাকাণ্ডের দায় কার? এনিয়ে তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার বাড়ির দুই বউকে খুনের কথা স্বীকার করল বাড়ির ছোট ছেলে প্রসূন। জেরায় নাকি সে জানিয়েছে, আগে স্ত্রী রোমির হাতের শিরা ও গলা কাটা হয়। রোমি প্রথমে নিজেই বাঁ হাতে শিরা কাটার চেষ্টা করেন, ব্যর্থ হন। তারপর প্রসূনই তাঁর শিরা কেটে দেয়।
পরে বউদি সুদেষ্ণার হাতের শিরাও কেটে দেয় প্রসূনই। আর শিরা কাটার সময় রোমি ও সুদেষ্ণার মুখে বালিশ চাপা দেওয়া হয়, যাতে আওয়াজ না বেরতে পারে। প্রসূন এও জানায়, প্রতিরোধ করা চেষ্টা করেছিলেন রোমি। তাঁর ডানদিকের তলপেটে, দুই ঠোঁটে, ডানদিকের কাঁধে কালশিটে দাগ পাওয়া গিয়েছে, যাতে মনে হচ্ছে তিনি প্রতিরোধ করেছেন। তিনজনের ভিসেরা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
হত্যাকাণ্ডের সময়ে বাড়ির বড় ছেলে প্রণয় তিনতলায় ছিলেন। নাবালকও সেখানেই ছিল। এরপর নাবালককে নিচে, দোতলায় নামিয়ে এনে তার হাতের শিরা কাটার চেষ্টা হয়। তবে সে পরে পুলিশের কাছে দাবি করেছে, শিরা কাটার সময় তার কোনও অনুভূতি হয়নি। তবে প্রাণে বাঁচতে সে মৃত সেজে অভিনয় করে। শ্বাস বন্ধ করে বেশ কিছুক্ষণ পড়ে ছিল। পরে বাবা-কাকা বেরনর সময় সেও তাদের সঙ্গ নেয়। এরপর অভিশপ্ত রাতে বাইপাসের ধারে মেট্রোর পিলারে গাড়ির ধাক্কা এবং তিনজনের আহত হওয়ার ঘটনা। সেই দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেই কার্যত কেঁচো খুড়তে কেউটে বের হয়। জানা যায়, বাড়িতে তিন মহিলার মৃতদেহ রেখে প্রণয়, প্রসূন ও বাড়ির নাবালক সদস্য বেরিয়েছে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে। নাবালক আপাতত সুস্থ, তবে সে হাসপাতালেই রয়েছে। পুলিশকে বয়ানও দিয়েছে। প্রণয়-প্রসূন পুলিশের হেফাজতে
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.