অর্ণব আইচ: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ঢুকে আফগানিস্তান (Afghanistan) পৌঁছে গিয়েছে ১৪ যুবক। তালিবানি আগ্রাসন শুরু হওয়ার সময়ই রওনা হয়ে গিয়েছিল এই বাংলাদেশি যুবকরা। কাবুল দখল করার আগেই তারা তালিবান (Taliban) শিবিরে যোগও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশি যুবকরা নয়, অসমের চার যুবকও রয়েছে ওই তালিকায়। এছাড়াও আরও তিন যুবকের গতিবিধিও বেশ সন্দেহজনক। তারা এই রাজ্য থেকে আফগানিস্তান গিয়েছে বলে খবর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে। এসব তথ্য হাতে পেয়ে তা যাচাই করছেন গোয়েন্দারা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে ২১ জন যুবকের মধ্যে কেউ কেউ জঙ্গি হানায় রীতিমতো দক্ষ। কাউকে আবার পাঠানো হয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য। এই পুরো অপারেশনের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) রয়েছে, এমনই মত গোয়েন্দাদের। এর সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবি (JMB) ও হুজিরও। অন্য রাজ্যের কেউ একই পথে পা বাড়াচ্ছে কি না, তা জানতে সক্রিয়তা বাড়িয়েছেন গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি সন্দেহজনক গতিবিধির উপরও কড়া নজর রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গোয়েন্দা দপ্তরের আরও খবর, তালিবানরা কাবুল দখল করার কয়েকদিন আগে থেকেই ওই যুবকরা আফগানিস্তানের পথে পা বাড়াতে শুরু করে। এমন খবরও তাঁদের কাছে এসেছে। যে ১৪ জন বাংলাদেশি যুবক চোরাপথে আফগানিস্তানের দিকে গিয়েছে বলে খবর, তাদের একজন বা দু’জন করে দফায় দফায় সীমান্ত পার হয়েছে। গোয়ন্দাদের অনুমান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে প্রথমে জম্মু ও কাশ্মীর পৌঁছয় তারা। এরপর আইএসআই মডিউলের সদস্যদের হাত ধরে সীমান্ত পার হয়ে তারা পাকিস্তানে (Pakistan) পৌঁছয়। সেখান থেকেই পাড়ি দেয় আফগানিস্তানে। একইভাবে অসম থেকে চারজন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে তিনজন এই পথেই গিয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
ওই যুবকদের আগেই মগজধোলাই করেছিল জামাত-উল-মুজাহিদিন (বাংলাদেশ) বা জেএমবি এবং হুজি সংগঠন। এমনকী, এই পরিস্থিতিতে চোরাপথে আফগানিস্তানে পাঠানোর পর তালিবানরা তাদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে নাশকতা ঘটানোর জন্য প্রস্তুত করছে, এমন সম্ভাবনা গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মতে যেহেতু পাকিস্তান তালিবানদের পাশেই রয়েছে, তাই এই যুবকদের আইএসআইয়ের মডিউলই মদত দিচ্ছে। তালিবানদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তারা ফের নিজেদের জায়গায় ফিরে আসতে পারে, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। তাদের ভারতে নাশকতার কাজেও ব্যবহার করা হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.