Advertisement
Advertisement

Breaking News

Chitpur

মায়ের গয়না চুরি করে নাবালিকাকে খুনের চেষ্টা! চিৎপুরে গ্রেপ্তার সাঁতার প্রশিক্ষক

লুট করা গয়নাগুলি উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Swimming teacher allegedly arrested for beaten a student in Chitpur
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 19, 2025 9:02 pm
  • Updated:March 19, 2025 9:02 pm  

অর্ণব আইচ: চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার খোদ শিক্ষক। চিৎপুরে সাঁতার প্রশিক্ষকের হাতে জখম বছর এগারোর নাবালিকা। তার মায়ের গয়নাগাটি চুরির পর ছুরি দিয়ে গলার নলিকাটার চেষ্টা করা হয় বলেই অভিযোগ। চিকিৎসার পর আপাতত সুস্থ নাবালিকা। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাঁতার প্রশিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর কলকাতার কাশীপুর রোডে ঘটেছে এই ঘটনাটি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই সাঁতারের শিক্ষকের নাম সন্দীপ সাউ। কাশীপুর অঞ্চলের একটি সাঁতারের ক্লাবে সাঁতার শিখতে যেত ওই নাবালিকা। সেখানেই সাঁতার শেখাত সন্দীপ সাউ। মঙ্গলবার স্কুল থেকে ফেরার পর ১১ বছরের ওই নাবালিকা বাড়িতে একাই ছিল। তার মা ও বাবা নিজেদের কাছে ছিলেন বাইরে। বিকেল সোয়া তিনটে নাগাদ অভিযুক্ত সন্দীপ নাবালিকার বাড়িতে হানা দেয়। সে জানত যে, ওই সময় বাড়িতে কেউ থাকবেন না। সে গিয়ে ছাত্রীটিকে ডাকলে সে দরজা খুলে দেয়। প্রথম কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে সে। এরপর দরজা বন্ধ করেই সে নিজের আসল রূপ ধরে। সে নাবালিকাকে বলে, তাদের ঘরের আলমারি খুলে লকার থেকে মায়ের সোনার গয়না বের করতে। নাবালিকা প্রথমে গররাজি হলে সে তাকে ভয় দেখায়। মেয়েটি কাঁদতে শুরু করে। এরপর সে বাধ‌্য হয়েই লকার থেকে সোনার গয়না নিয়ে তুলে দেয় সাঁতারের শিক্ষকের হাতে। ধরা পড়ার ভয়ে ওই যুবক তখন নাবালিকাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

Advertisement

সে একটি গামছা দিয়ে নাবালিকার গলায় শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করার চেষ্টা করে। প্রায় অচেতন হয়ে পড়ে সে। এরপর সে রান্নাঘরে গিয়ে একটি সব্জি কাটার ছুরি নিয়ে আসে। নাবালিকার গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় সে। বিছানায় ভর্তি হয়ে যায় রক্ত। সে মনে করে, মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। তাই লুট হওয়া গয়না সঙ্গে নিয়েই সে পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই তার অভিভাবকরা বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন, এভাবে ঘরের ভিতর পড়ে রয়েছে সে। তাঁরাই চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রায় অচেতন ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানেই অস্ত্রোপচারের পর সে অনেকটাই সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কোনওমতে সে অভিভাবক ও পুলিশকে অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম এবং কীর্তি জানায়। এই ব‌্যাপারে চিৎপুর থানার পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করে। কাশীপুরের একটি জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছিল সে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লুট করা গয়নাগুলি উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement