কৃষ্ণকুমার দাস: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভারচুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ ডা. শান্তনু সেন (Santanu Sen)। দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেতা কীভাবে হাইভোল্টেজ বৈঠকে যোগ দিলেন, তা নিয়ে এখন তৃণমূলের অন্দরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাঁকে কে বা কারা ভারচুয়াল বৈঠকের লিংক দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, আর জি কর আন্দোলনের সময় শান্তনুর ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট দল তাঁকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় নীতি ও নিয়ম মেনে সাসপেন্ড হওয়া কোনও নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সির মতো নেতার উপস্থিতিতে দলের বৈঠকে যোগ দিতে পারেন না। অথচ সোমবার দুপুরে একাধিক সংবাদমাধ্যমে শান্তনু সেন নিজেই স্বীকার করেছেন বৈঠকে থাকার কথা। বলেছেন, দলের তরফেই লিংক পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের পালটা প্রশ্ন করেছেন শান্তনু- “দল না দিলে আমি কীভাবে লিংক পেলাম?”
এরপরই প্রশ্ন উঠছে, শান্তনু কোনও শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই কি ভারচুয়াল বৈঠকের লিংক পেয়েছিলেন নাকি তাঁর উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহার হতে পারে, এমন কোনও বার্তা পেয়েই লিংক পাঠানো হল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে দলের তরফে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এখনও সাসপেনশন ওঠেনি। তবে আমি লিংক পাঠাইনি। যাদের পাঠানোর কথা, তারাই পাঠিয়েছে। এর বেশি আমি কিছু জানি না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.