প্রতীকী ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: রোগীর প্রমাণপত্র হাতিয়ে এমার্জেন্সি টিকিট কাটা হচ্ছে বেঙ্গালুরু থেকে! সেই টিকিটই কলকাতায় এসে হস্তান্তর করা হত মোটা টাকায়। কিন্তু এবার দালালদের সেই ছক বানচাল করে দিয়েছে আরপিএফ। দালালচক্রের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয় আরপিএফের কাছে।
সূত্রের খবর,‘এমার্জেন্সি কোটা’র টিকিট ঘুরপথে চলে যেত দালালদের হাতে। আর এজন্য সুপরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হত বেঙ্গালুরু মেডিক্যাল কলেজগুলোর রোগীদের। তাঁদের থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে তা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করত দালালরা। চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর হাওড়া ডিভিশনের আরপিএফ জানতে পারে বেঙ্গালুরুর যোগসাজশে এই চক্রের ব্যবসা রমরমিয়ে বাড়ে। এনিয়ে হাওড়া সেন্ট্রার পোস্টের আরপিএফ ইন্সপেক্টর অনুপম কুমার জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন হাওড়ার, ৪ জন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা, দুজন বর্ধমানের, একজন মুর্শিদাবাদের ও একজন হুগলিবাসী। এদের কাছে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার টিকিট উদ্ধার হয়।
ধৃতরা জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করতে যাওয়া রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে সেখান থেকেই সংরক্ষিত টিকিট কাটা হত। হাওড়া থেকে বেঙ্গালুরুর ও বেঙ্গালুরুর থেকে হাওড়ার টিকিট কাটা হত। জানা গিয়েছে, হাওড়া থেকে যাত্রার টিকিট সময় মতো যাত্রীদের হাতে পৌঁছে দিতে বেঙ্গালুরুর থেকে বিমানে কলকাতা চলে আসে দালালরা। এর পর মোটা টাকার বিনিময়ে হাওড়া স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার আগেই তা যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই সময়ই আরপিএফ দালালদের ধরে চক্রের সন্ধান পায়। জাল বিছিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে হাওড়ার আরপিএফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.