সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজ্যপালের দরবারে আর জি করের নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের। সিবিআই তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সন্তানহারা বাবা-মা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চান বলেই রাজ্যপালকে জানিয়েছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রায় ঘণ্টাখানেক নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। সুকান্তর কাছেও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মারফৎ সিবিআই ডিরেক্টরের কাছে চিঠিও পাঠান তিনি। ওই চিঠিতে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নির্যাতিতার বাবা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বেশ কয়েকজন আধিকারিক তদন্তে সঠিক ভূমিকা পালন করেননি বলেই সহমত পোষণ করেন সুকান্ত মজুমদারও। নির্ধারিত জায়গায় অভিযোগ পৌঁছে দেবেন বলেই আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার ১৬২ দিনের মাথায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। তার দুদিন পর সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেন বিচারক। সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাই কোর্টে মামলা রাজ্য ও সিবিআই। তবে ওই মামলার শুনানিতে গত সোমবার হাই কোর্টে সওয়াল জবাবে নির্যাতিতার আইনজীবী শামিম আহমেদের জানান, কন্যাহারা পরিবার চায় না যে দোষীর সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড হোক। বরং তাঁদের দাবি, ‘প্রকৃত অপরাধী’রা অধরা, তাদের তদন্তের আওতায় আনা হোক। কিন্তু কেন? নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবার কথায়, “তদন্তের সবকটি মানিক আমাদের হারিয়ে গিয়েছে। একটি মানিক রয়েছে। আমরা ওটাকে আর হারাতে চাইছি না। চাইছি পকেটে রাখতে। তাই ফাঁসি চাই না।” যদিও ‘অভয়া’র পরিবারের প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব রাজ্যবাসী। রাজনীতিবিদদের একাংশ এর নেপথ্যে অবশ্য অন্য রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.