সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে উৎসবের মরশুমেও পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মহালয়া এবং অষ্টমীতে রাত দখলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার এসএসকেএমের গণ কনভেনশন থেকে তাঁরা আরও গুরুত্ব দিলেন সেই কর্মসূচিকে। মহালয়ার দিন মহা সমাবেশের ডাক দেওয়া হল জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে। এদিন আর জি করের জুনিয়র ডাক্তার তথা আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার জানালেন, ২ তারিখ মহালয়া। সেদিন তাঁরা মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। তার পর ধর্মতলায় মহাসমাবেশ হবে। দুপুর ১টা থেকে এই কর্মসূচি রয়েছে।
শুক্রবারের গণ কনভেনশনে সমাজের সর্বস্তরেন মানুষজনের মতামত সংগ্রহ করেছেন উদ্যোক্তারা। বিচারের দাবিতে সোচ্চার সিনিয়র চিকিৎসকরাও। জুনিয়র ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, উৎসবের মতো মানসিকতা তাঁদের নেই। ওই সময়েও তাঁরা বিচারের দাবিতেই সোচ্চার থাকবেন। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘পাড়ায় থাকছি একসাথে, উৎসবে নয় প্রতিবাদে’। ওই দিন তাঁদের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকেও আহ্বান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
মহালয়ার ঠিক আগের রাত অর্থাৎ ১ অক্টোবর, রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পথে নামার কর্মসূচি আগেই ঠিক করেছিলেন অনিকেত, দেবাশিসরা। অষ্টমী অর্থাৎ ১১ অক্টোবরও সারারাত পথে থাকার কথা তাঁদের। তবে শুক্রবার দুই নতুন কর্মসূচিকেই আরও বৃহত্তর করে তোলার ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার। যিনি টানা ৪১ দিন ধরে আর জি করের তরুণী সহকর্মীর মর্মান্তিক পরিণতির বিচার চেয়ে আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন। দেবাশিসের কথায়, ”উৎসবের মানসিক প্রস্তুতি নেই। সামনে পুজো আসছে। আমরা কাউকে উৎসবে বিরত থাকতে বলতে পারি না। কিন্তু আমরা উৎসবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই।’’
এর পরই তিনি জানান, মহালয়া অর্থাৎ দেবীপক্ষের সূচনায় দিনভর তাঁদের কর্মসূচি থাকবে। ধর্মতলায় মহা সমাবেশ হবে। আবার এই সময়ে ধর্মতলা চত্বরে কোনওরকম মিছিল, সভা, সমাবেশ, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। ফলে এই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে ওইদিন জুনিয়র ডাক্তারদের সমাবেশ কতটা শান্তিপূর্ণভাবে হওয়া সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.