নিরুফা খাতুন: আর জি কর মেডিক্যালের তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে মাসচারেক। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পরেও সুবিচার পাননি নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। অথচ জয়নগর এবং জঙ্গিপুরে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র দুমাসের মধ্যে দোষীদের ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত। আর সে কারণে অন্য রাজ্যের পুলিশ বাংলার তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার।
তিনি আরও বলেন, “এমন স্পর্শকাতর ঘটনায় এত দ্রুত বিচারের নজির অতীতে বাংলায় নেই। ভারতবর্ষে এর আগে এরকম দ্রুত বিচারের কটি ঘটনা আছে বা আদৌ আছে কিনা জানি না। তবে ইতিমধ্যে দেশের একাধিক রাজ্য থেকে আমাদের কাছে আনঅফিসিয়ালি খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। তাঁরা সকলে জানতে চাইছেন, কীভাবে এত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। যাঁরা তথ্য চাইছে আমরা তাঁদের তথ্য দেব।” জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের বিচারকও এদিন তদন্তকারীদের প্রশংসা করেন।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি কর মেডিক্যালের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিনই সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় প্রায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। কর্মক্ষেত্রে একজন মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন ওঠে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ তদন্তভার নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট না দেওয়ায় শুক্রবারই ধর্ষণ ও খুন মামলায় আর জি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পান। আর সেদিনই রাজ্য পুলিশের তৎপরতায় ২ মাসের মাথায় জঙ্গিপুর কাণ্ডে এক অভিযুক্ত ফাঁসি এবং আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করছেন সকলেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.