সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে তোলাবাজি কাণ্ডে পুলিশের নজরে কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। ফের ৮ জানুয়ারির মধ্যে শেক্সপিয়র সরণি থানায় তলব করা হয়েছে তাঁকে। এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর তলব করা হয় বিধায়ককে। সেবার অবশ্য পুলিশি তলবে থানায় হাজিরা দেননি তিনি। কিছুটা সময় চেয়ে কলকাতা পুলিশকে ইমেল করেছিলেন। এবার তলবে সাড়া দেন কিনা বিধায়ক, সেদিকেই নজর সকলের।
উল্লেখ্য, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর, তাঁকে ফোন করে বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে। বলা হয়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গা থেকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। যে কোনও মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তাঁর আরও দাবি, যদি ৫ লক্ষ টাকা দেন, তাহলে পুলিশি ধরপাকড় থেকে মুক্তি পাবেন বলে ফোনে বলা হয়েছিল। যে মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করা হয়েছিল সেটির লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায়, হুগলি থেকে ফোনটি এসেছিল। পালটা চেয়ারম্যানকে দিয়ে প্রতারকদের টোপ দেয় পুলিশ।
যে নম্বরে ফোন এসেছিল সেই নম্বরে চেয়ারম্যান ফোন করে তাদের দাবিমতো টাকা দিতে রাজি বলে জানিয়ে এমএলএ হস্টেলে ডাকেন ওই প্রতারকদের। এমএলএ হস্টেলে বিজেপি বিধায়ককে দিয়েই ইমরান শেখ নামে এক যুবক ঘর বুকিং করেছিল। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র ঘরটিই বুক করা হয়েছিল। এই তথ্য সামনে আসার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল। ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ তলব করে বিধায়ককে। সোমবার থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শ মতো পুলিশি তলবে থানায় হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে পরে তিনি পুলিশি তলবের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা সময় চেয়ে নেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.