Advertisement
Advertisement

Breaking News

Manipal

ভিনরাজ্যে চিকিৎসার দিন শেষ, কলকাতাতেই বড় উদ্যোগ মণিপালের

রাজ্যে মণিপালের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ, জানিয়ে দিলেন গোষ্ঠীর কর্ণধার।

Manipal takes over AMRI Hospitals

নিজস্ব চিত্র।

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:May 14, 2024 4:42 pm
  • Updated:May 14, 2024 6:31 pm

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছিল গতবছর। আর মঙ্গলবার কলকাতায় এক বর্ণময় আনুষ্ঠানে সাংবাদিক সম্মেলন করে মণিপাল হাসপাতাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এইচ সুদর্শন বাল্লাল জানিয়ে দিলেন, আমরির চারটি হাসপাতালই মণিপাল হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।

বাল্লালের কথায়, “কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতাল বছরদুয়েক আগেই মণিপাল সল্টলেক হিসেবে রাজ্যের মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছিল। এর পর বাকি তিনটি হাসপাতালও অধিগ্রহণ করে তারা। এবার আমরি সল্টলেক হল মণিপাল ব্রডওয়ে। আমরি ঢাকুরিয়া ও মুকুন্দপুর যথাক্রমে মণিপাল হয়ে গেল।” একই সঙ্গে বদল হচ্ছে লোগো, ব্র্যান্ডিং, ইন্টারনাল সাইনেজ, ইনভয়েস, লেটারহেড, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পোশাক, পরিচয়পত্র এবং হাসপাতালের ওয়েবসাইট। মোদ্দা কথা, নবরূপে রাজ্যে আত্মপ্রকাশ করছে মণিপাল গোষ্ঠী (Manipal Group)। গ্রুপের এমডি তথা সিইও দিলীপ জোস এদিন জানান, গত বছরই বেঙ্গল বিজনেস সামিটে ওঁরা জানিয়েছিলেন, কলকাতায় একটি পুরোদস্তুর হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করতে চান। সেই অনুযায়ী রাজারহাটে মাল্টি-সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হবে। জমি জরিপের কাজ শেষ। কিছুদিনের মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মানবিকতা সংকটে, বন্ধ হোক এ রক্তের হোলি’, রাষ্ট্রসংঘে প্যালেস্টাইনের পাশে ভারত]

Advertisement

কলকাতায় মণিপালের এই চারটি হাসপাতালে মোট ৮৫০টি শয্যা রয়েছে। দিলীপ জোস জানিয়েছেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আধুনিক কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষিত করা হবে। লিভার ট্রান্সপ্লান্টেরও সুযোগ থাকবে। চিকিৎসা হবে লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমেও। বর্তমানে মণিপালের দেশের ১৩টি রাজ্যের ১৭টি শহরে ৩৩টি হাসপাতাল রয়েছে। সিসিইউ, আইসিইউ-সহ মোট শয্যাসংখ্যা সাড়ে ন’হাজার এবং প্রায় পাঁচ হাজার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মণিপাল হাসপাতাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এইচ সুদর্শন বাল্লাল জানিয়েছেন, তাঁদের মূল লক্ষ্য রাজ্যের রোগীদের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে দ্রুত সুস্থ করে তোলা। খরচ যাতে সাধ্যের মধ্যে থাকে তাও নজর রাখা হবে।

তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রোগী মণিপালের বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ফি বছর চিকিৎসা করাতে যায়। এদের মধ্যে লিভার ও ফুসফুস প্রতিস্থাপন, নিউরো সার্জারির মতো জটিল চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। এই চারটি হাসপাতালের পরিচালনা ভার মণিপাল গোষ্ঠী হাতে নেওয়ায় রোগীদের আর বাইরে যেতে হবে না। কলকাতা বা রাজ্যের মানুষ এখানেই একই পরিষেবা পাবেন। অন্যান্য যায়গার হাসপাতালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে কলকাতাতেই তৈরি হচ্ছে কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডার। যেখানে সমস্ত রোগীর যাবতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা কম্পুটার বন্দি থাকবে। কোনও রোগীর জন্য আরও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দরকার হলে ভিন রাজ্যের হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।

[আরও পড়ুন: ফের দিল্লির হাসপাতালে বোমাতঙ্ক, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু তল্লাশি অভিযান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ