Advertisement
Advertisement

Breaking News

New Market

ফেসবুক বান্ধবীর টাকা-গয়না হাতিয়ে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার যুবক

কয়েক দফায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল ওই যুবক। নিউ মার্কেট থানায় যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় ৭ মাস পর গ্রেপ্তার হল ওই যুবক।

Man arrested after stealing jewellery and harassing facebook friend in New Market hotel

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 22, 2024 8:44 am
  • Updated:April 22, 2024 6:48 pm  

অর্ণব আইচ: ফেসবুকের বান্ধবীকে মধ‌্য কলকাতার হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, সম্পর্কের জেরে বান্ধবীর প্রায় দুলক্ষ টাকা ও লক্ষাধিক টাকার গয়না হাতানোর অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় ৭ মাস পর গ্রেপ্তার হল ওই যুবক। নিউ মার্কেট থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম তোফায়েল শেখ। সে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেলডাঙার একটি দোকানে কাজ করে তোফায়েল। ২০২২ সালে ২৬ বছরের ওই যুবকের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সের যুবতীর সঙ্গে ফেসবুকে (Facebook) পরিচয় হয়। ক্রমে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা হয়। তার জেরে ওই যুবতী মুর্শিদাবাদে যুবকের বাড়িতেও যান। যুবতীর অভিযোগ, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবক একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত বছর যুবতীকে ফোন করে ওই যুবক বলে, সে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে কলকাতায় এসেছে। যুবতীকে ধর্মতলা অঞ্চলে দেখা করার জন্য ডাকে। এর পর তাঁকে নিয়ে তোফায়েল ওই এলাকায় কয়েকঘণ্টার জন‌্য একটি ঘর ভাড়া নেয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপি বা তৃণমূল নয়, নির্বাচনী লড়াইয়ে এগিয়ে বামেরাই! কোন শক্তিতে?]

যুবতীর অভিযোগ, হোটেলের ঘরের ভিতর তাঁকে সঙ্গী ধর্ষণ (Rape) করে। দু’জনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে ওই যুবক তার বান্ধবীর কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তুতির নাম করে কয়েক দফায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বন্ধুর অনুরোধে তাকে নিজের লক্ষাধিক টাকার গয়নাও দেয় বলে অভিযোগ যুবতীর। কিন্তু টাকা ও গয়না হাতানোর পর থেকেই যুবক তার বান্ধবীকে এড়িয়ে চলতে থাকে। যুবতী ফোন করলে তাঁকে তোফায়েল জানিয়ে দেয় যে, তাঁকে বিয়ে করতে পারবে না সে। তাদের এই সম্পর্ক তার অভিভাবকরা মেনে নেবেন না।

[আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া আউট’ মন্ত্রেই ফের বাজিমাত, পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী চিনপন্থী মুইজ্জু]

এই কথা শুনেই যুবতী মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তোফায়েলের বাড়িতে চলে যান। কেন সে তাঁকে এড়িয়ে চলছে, তা নিয়ে তোফায়েল ও তাঁর মা-বাবাকে প্রশ্ন করতে থাকে সে। যুবতীর অভিযোগ, তাঁর ওই বন্ধু ও তার পরিবারের লোকেরা তাঁকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি প্রতিবাদ করে উঠলে তাঁকে একটি ঘরে বন্দি করে রেখে মারধর করা হয়। বাধ‌্য হয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় চলে আসেন।

যেহেতু ধর্মতলার হোটেলে তাঁকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়, তাই নিউ মার্কেট (New Market) থানায় গিয়ে তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, মারধর, ভয় দেখানোর অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও পুলিশকে তিনি জানান যে, ওই হোটেলের নাম বা ঠিকানা তিনি জানেন না। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের পরিচয়পত্রও নেননি। তবে সঙ্গে নিয়ে গেলে তিনি হোটেলটি চিনতে পারবেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে অভিযোগ দায়ের করা হলে তাঁর মেডিক‌্যাল পরীক্ষা করানো হয়। আদালতে তিনি গোপন জবানবন্দিও দেন। এর মধ্যে তদন্তকারী আধিকারিকের (IO) পরিবর্তন হয়। শনিবার বেলডাঙা থেকে তোফায়েলকে গ্রেপ্তার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তাকে জেরা করে ওই হোটেলটি শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement