সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো ভোটার লিস্ট নিয়ে তুলকালাম রাজ্য রাজনীতিতে। কর্মীসভায় মমতার অভিযোগ, পাঞ্জাব-গুজরাটের লোকের নাম তালিকায় উঠছে। ‘তালিকা পরিষ্কারে’ নতুন কমিটি গড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য নেতারাও থাকছেন কমিটিতে। এছাড়াও প্রতিটি ব্লকে কোর কমিটি গঠন করা হবে। যারা রাজ্য কমিটিকে রিপোর্ট দেবে। ১০ দিনের ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন নেত্রী।
রাজ্যে বাজেট অধিবেশনের সময় সামনে আসে ভুয়ো ভোটার তালিকার বিষয়টি। সেখানে দেখা যায় মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার অনেক এলাকার বাসিন্দাদের নাম রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোটার তালিকায়। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মীসভায় নেতাদের সর্তক থাকার পাশাপাশি ভোটার তালিকা ‘পরিষ্কারে’ মাঠে নামার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ভোটার তালিকায় বেনোজল রুখতে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করলেন মমতা। এই কমিটি ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করবে। রাজ্য কমিটিতে থাকছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য্য, জগদীশ বাসুুনিয়া, বাপি হালদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন কাঞ্জিলাল-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ধরতে এই কমিটিকে ১০ দিনের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য কমিটির পাশাপাশি, জেলাতেও কোর কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলার কোর কমিটি ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ধরে রাজ্য কমিটির কাছে রিপোর্ট পাঠাবে। ৩ দিন পরপর কাজ কী হল জানাতে হবে। মমতা বলেন, “কোথায় কী বাধা পাচ্ছেন জানাতে হবে তৃণমূল ভবনে। ৪ জন করে বসবেন। রিপোর্ট করবেন।”
এদিনের সভায় তৃণমূল সভানেত্রী মমতা অভিযোগ তুলেছেন, ‘ভূতুড়ে’ ভোটারের মাধ্যমে বাংলা দখলের খেলায় নেমেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের ‘আশীর্বাদে’ এই কাজ চলছে। তৃণমূল নেত্রীর আরও দাবি, “বাংলার ভোটার তালিকায় হরিয়ানার ভোটারের নাম। পাঞ্জাব, রাজস্থান, বিহারের ভোটারদের নামও তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ভোটারদের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়ে আসবে! মুর্শিদাবাদের নেতারা সতর্ক থাকুন।”
তিনি আরও অভিযোগ জানান, এজেন্সিকে দিয়ে অনলাইনে এসব করানো হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি যতদূর জানতে পেরেছি অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস, কোম্পানি ইন্ডিয়া ৩৬০ নামে দুটি এজেন্সি আছে। তারা ডেটা অপারেটদের কাছে গিয়ে নিয়েছে। কিছু বিএলআরও-কে সাথে নিয়ে অনলাইনে কারসাজি করেছে। বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে তাই একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। তা না হলে ইলেকশনের কোনও প্রয়োজন থাকবে না। ভয় পাবেন না। একটা এজেন্সিকে দিয়ে অনলাইনে এসব করানো হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.