Advertisement
Advertisement
Kolkata

পদ্ম বিধায়কের সুপারিশেই MLA হস্টেলে ঘর পায় ৩ প্রতারক! তদন্ত রিপোর্ট তলব স্পিকারের

কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ।

Kolkata: WB assembly speaker Biman Banerjee seeks investigation report on fraud case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 28, 2024 9:07 am
  • Updated:December 28, 2024 9:07 am  

স্টাফ রিপোর্টার: বিজেপি বিধায়কের সুপারিশেই কলকাতার বিধায়ক আবাস (এমএলএ হস্টেল) থেকে ধৃত তিন প্রতারককে ঘর দেওয়া হয়েছিল। বিধায়ক আবাসনের অফিশিয়াল রেকর্ড থেকেই এটা জানা গিয়েছে। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক আবাসনের সুপারিনটেনডেন্টকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে।

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানকে হুমকি দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগে কলকাতার বিধায়ক আবাস থেকে বৃহস্পতিবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ওই বিধায়ক আবাসে বিজেপি বিধায়কের ঘর থেকেই ওই তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আবাসে কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র ঘরটি তারা বুক করেছিল।

Advertisement

এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, “একজন বিজেপি বিধায়কের সুপারিশেই ঘর দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। এমএলএ হস্টেলের অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে তা জানানো হয়েছে। যাঁকে ঘর দেওয়া হয়েছিল তাঁর নাম, আধার কার্ড নম্বর সব রেকর্ড করা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তার দিক থেকে যতটুকু নেওয়ার আমরা নিই। কিন্তু এটা জানা থাকে না যে কার সুপারিশে কে ভিতরে ঢুকছেন। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভিতরে ঢুকে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব।” এরপরই বিজেপি বিধায়কের সুপারিশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্পিকার বলেন, “আগে জানি তাঁর চিঠি, সুপারিশের বিষয়গুলি। সব দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক সজ্জন লোক। বিষয়টি নিয়ে তিনিই বলতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে ফোন করে বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে। বলা হয়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গা থেকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। যে কোনও মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তাঁর আরও দাবি, যদি ৫ লক্ষ টাকা দেন, তাহলে পুলিশি ধরপাকড় থেকে মুক্তি পাবেন বলে ফোনে বলা হয়েছিল। যে মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করা হয়েছিল সেটির লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায়, হুগলি থেকে ফোনটি এসেছিল। পাল্টা চেয়ারম্যানকে দিয়ে প্রতারকদের টোপ দেয় পুলিশ। যে নম্বরে ফোন এসেছিল সেই নম্বরে চেয়ারম্যান ফোন করে তাদের দাবিমতো টাকা দিতে রাজি বলে জানিয়ে এমএলএ হস্টেলে ডাকেন ওই প্রতারকদের। এমএলএ হস্টেলে বিজেপি বিধায়ককে দিয়েই ইমরান শেখ নামে এক যুবক ঘর বুকিং করেছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement