রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রামনবমীর দিন অস্ত্র হাতে মিছিল করার ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এই আবহে রামনবমীর দিন ভিন রাজ্য থেকে অশান্তি পাকাতে বহিরাগতরা বাংলায় এসে প্ররোচনা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে মুষ্টিমেয় দু-একজন গোলমালের চেষ্টা করেন। তাদের চিহ্নিত করতে পারলেই চিন্তা থাকে না।” রামনবমীর দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তিনি রাত জাগেন বলেও এদিন জানান ফিরহাদ।
রাজনৈতিক মহলের মত, রামনবমীকে সামনে রেখে ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের দিকে চোখ রেখেই বিজেপি হিন্দুত্বের হাওয়া তোলার চেষ্টা করবে। সেই মতোই তারা পরিকল্পনা নিয়েছে। আরএসএসের তরফেও বিজেপিকে পুরো শক্তি দিয়ে মাঠে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজেই রাজ্যজুড়ে বেনজির শক্তি প্রদর্শনের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। এই ইস্যুতে পুরমন্ত্রী বলেন, “রামনবমীতে কিছুই হবে না। আমরা বাংলার মানুষ রামকৃষ্ণের যত মত তত পথে বিশ্বাসী। বাংলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলে না।” অমিত শাহরা বাংলায় পদ্ম ফুল ফোটার আশা করেন, তবে যতদিন ধর্মীয় রাজনীতি করবে তারা বাংলায় কোনওদিন আসবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
এদিকে, অস্ত্র নিয়ে রামনবমীর মিছিল ইস্যুতে প্রশাসনের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে পিছু হঠল আরএসএস। এ প্রসঙ্গে সঙ্ঘের বক্তব্য, আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নটি যেহেতু পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, ফলে এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্তই শিরোধার্য। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পূর্ব ক্ষেত্রের সহ প্রচার প্রমূখ ড. জিষ্ণু বসু বলেন, ‘‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রীতিতে ধর্মাচরণ করা হয়। এটা পরম্পরা। এখন এরাজ্যে পুলিশ প্রশাসন যদি মনে করে যে রামনবমীতে অস্ত্র হাতে মিছিল করা যাবে না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’’
বিজেপি নেতারা অবশ্য রামনবমী নিয়ে চড়া সুরেই কথা বলে চলেছেন। রামনবমীতে দলীয় কর্মীদের প্রস্তুত হয়ে বেরনোর কথা বলে ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। রামনবমী প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার শুক্রবার বলেছেন, “পরিস্থিতি যা তাতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন হওয়া উচিত। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.