Advertisement
Advertisement

Breaking News

Behala

জন্ম থেকে অটিজমে আক্রান্ত সন্তান, বেহালায় একই দড়ির দু’প্রান্তে ঝুলে বাবা ও মেয়ের দেহ

বেহালার শকুন্তলা পার্কে ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া।

Father and daughter found dead in Behala
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 1, 2025 9:45 am
  • Updated:March 1, 2025 2:48 pm  

অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: বেহালার শকুন্তলা পার্কে ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া। বাড়ির অদূরে অফিস থেকে বাবা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ফ্যানে একই দড়ির দু’প্রান্তে দুজনের দেহ ঝুলতে দেখা যায়। জন্ম থেকে অটিজমে আক্রান্ত সন্তান। সে কারণে মানসিক অবসাদে ভুগতেন বাবা। তাই মেয়েকে খুন করে সম্ভবত নিজে আত্মঘাতী হতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। পর্ণশ্রী থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।

নিহতেরা হলেন বাবা স্বজন দাস এবং মেয়ে সৃজা দাস। বছর তিপ্পান্নর স্বজন পেশায় ব্যবসায়ী। বছর বাইশের মেয়ে সৃজা জন্ম থেকে অটিজমে আক্রান্ত। মহেশতলা থানার নুঙ্গির দীর্ঘদিনের বাসিন্দা তাঁরা। বেহালার শকুন্তলা পার্ক লাগোয়া হো-চি-মিন সরণিতে একটি অফিস রয়েছে স্বজনবাবুর। শুক্রবার মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার নামে বাড়ি থেকে বেরয় বাবা ও মেয়ে। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলে বাবা ও মেয়ের কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।

সন্ধে সাতটা নাগাদ স্বজনের বন্ধুবান্ধবদের ফোন করতে শুরু করেন তাঁর স্ত্রী। তাঁরাও ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি। বেশ কয়েকজন শকুন্তলা পার্কের অফিসে পৌঁছন। তাঁরা গিয়ে দেখেন অফিসের ভিতরে আলো জ্বলছে। চলছে এসি। ডাকতে শুরু করেন। কিন্তু কারও রোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বেশ কিছুক্ষণ পর দরজা ভেঙে অফিসের ভিতরে ঢোকেন সকলে। তাজ্জব হয়ে যান তাঁরা। দেখেন ফ্যানে একটি দড়ির দু’প্রান্তে ঝুলছেন বাবা ও মেয়ে। তড়িঘড়ি পর্ণশ্রী থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ জোড়া মরদেহ উদ্ধার করে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্বামী ও সন্তানকে হারিয়ে চোখের জলে ভাসছেন স্বজনের স্ত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub