ফাইল চিত্র।
সুদীপ রায়চৌধুরী: মঙ্গলবার অশান্তিবিহীন ভোট হয়েছে মুর্শিদাবাদ ও মালদহে। যা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে একরকম নজিরবিহীন ঘটনা। আর সেই কৃতিত্বের জন্য দেশের মুখ্য কমিশনার রাজীব কুমারের (Rajeev Kumar) প্রশংসা অর্জন করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব। ও তাঁর কার্যালয়েরও প্রশংসা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই একই মডেলকে সামনে রেখে পরের দফায় ভোট করাতে চায় কমিশন। এমনটাই দাবি সূত্রের।
দেশের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha 2024) আপাতত মধ্যপর্বে। মোট সাত দফার মধ্যে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ দেশজুড়ে হয়ে গিয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে ভোট নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার-সহ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কোন রাজ্যে ভোটের ছবি কেমন, ভোট নিয়ে কোনও সমস্যা বা জটিলতা দেখা দিচ্ছে কিনা, পরবর্তী চার পর্বে সমস্যা কী হতে পারে ও তার সম্ভাব্য প্রতিকার পদ্ধতি কী হওয়া উচিত হচ্ছে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেই প্রকাশ্যে বাংলায় এখনও পর্যন্ত যেভাবে ভোট হয়েছে, তার প্রশংসা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। জানান, বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-সহ গোটা দপ্তরের কাজে তিনি খুশি। যে ভাবে বাংলার প্রথম তিন দফাকে মোটের উপর ‘শান্তিপূর্ণ’ রাখা গিয়েছে, তাতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের উপর কমিশন যে সন্তুষ্ট, তা পরিস্কার করতে দ্বিধা করেননি দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
প্রথম দু’পর্বে ভোট শান্তিতে হলেও কমিশন দুশ্চিন্তায় ছিল তৃতীয় পর্ব নিয়ে। যার অন্যতম কারণ, মুর্শিদাবাদ জেলার নির্বাচনী অতীত। দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলায় ভোট ও রাজনৈতিক হিংসা প্রায় সমার্থক এবং নির্বাচনী সন্ত্রাসপ্রবণ জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম নাম এই মুর্শিদাবাদ। অতীতে বিভিন্ন ভোটে মুর্শিদাবাদে প্রবল অশান্তি হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে বহু প্রাণহানি দেখেছে এই জেলা। শুধু ভোটের দিনই অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। সম্প্রতি রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে এখানে অশান্তি হয়েছিল। কিন্তু দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় সেই অশান্তি ছড়াতে পারেনি। এই বিষয়টিও কমিশনের ফুল বেঞ্চের চোখ এড়ায়নি বলে সুত্রের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.