Advertisement
Advertisement

Breaking News

Calcutta national Medical College

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অসাধ্য সাধন! ‘ফার্স্ট ডিগ্রি’ হার্ট ব্লক নিয়েও মা হলেন বালুরঘাটের মৌমিতা

যাঁর হার্টে সমস্যা তাঁর জঠরে ধুকপুক করছিল আর এক প্রাণ।

Calcutta national Medical College completes complex surgery successfully

ফাইল ছবি।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 1, 2025 2:01 pm
  • Updated:March 1, 2025 2:01 pm  

অভিরূপ দাস: যাঁর হার্টে সমস্যা তাঁর জঠরে ধুকপুক করছে আর এক প্রাণ। অন্তঃসত্ত্বাকে বাঁচাতে ‘টিম’ তৈরি করল ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।

মায়ের বুকে অস্থায়ী পেসমেকার, সে অবস্থায় পৃথিবীর আলো দেখল সদ্যোজাত। চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকারি পরিকাঠামোয় প্রসূতি ও তাঁর সন্তানকে বিপন্মুক্ত করল ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। নেতৃত্বে সুপার ডা. অর্ঘ্য মৈত্র, স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. প্রণব বিশ্বাস, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. সুশান্তকুমার পাইনের তত্ত্বাবধানে। অপারেশন টিমে ছিলেন স্ত্রীরোগ বিভাগের ডা. ধারা লায়েক, ডা. পৌলমী রায়, অ্যানাস্থেটিস্ট ডা. মৃন্ময় বসাকও।

যাঁকে বাঁচাতে এই কর্মকাণ্ড তিনি উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটের বাসিন্দা মৌমিতা বর্মন। বয়স ২৬ বছর। বিয়ে করেছিলেন এক বছর আগে। আচমকাই একদিন শ্বাস নিতে সমস্যা, বুকে চাপ চাপ ব্যথা। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে ইসিজি করেন। সেখানেই ধরা পড়ে হার্টে সমস্যা। এদিকে ততদিনে সন্তানসম্ভবা মৌমিতা। এবার উপায়?

বালুরঘাটের চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, হৃদপিণ্ডের এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার অত্যন্ত বিপজ্জনক। পেসমেকার বসিয়ে তবে ওটি করতে হবে। এমতাবস্থায় কোনও বেসরকারি হাসপাতাল নয়, মৌমিতার পরিবার ভরসা রেখেছিল বাংলার সরকারি পরিষেবায়। মঙ্গলবার ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে এসেছিলেন মৌমিতা। বুধবার চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। দেখা যায়, তখনও জঠরের সন্তানের ফুসফুসের গঠন সম্পূর্ণ হয়নি। এদিকে প্রসূতির হার্টের অবস্থাও ভালো নয়। দ্রুত প্রসূতির হার্টকে স্বাভাবিক রাখতে ‘টেম্পোরারি পেসমেকার’ বসানো হয়। বাচ্চার ফুসফুসের গঠন দ্রুত সম্পূর্ণ করতে প্রসূতিকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। স্ত্রীরোগ বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চারটে ডোজের এই ইঞ্জেকশন ১২ ঘণ্টা অন্তর দিতে হয়।

দুটো চিন্তা ঘুরছিল চিকিৎসকদের মাথায়। হার্ট বিকল হওয়ার আগেই বাঁচাতে হবে প্রসূতিকে। বাঁচিয়ে রাখতে হবে জঠরের সন্তানকেও। চিকিৎসকরা যখন বুঝতে পারেন এইবার জঠরের সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করা যাবে তৈরি করা হয় অপারেশন থিয়েটার। শুক্রবার টেম্পোরারি পেসমেকার বসানো অবস্থায় সিজার হয় মৌমিতার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মা এবং সন্তান দু’জনেই এখন ভালো আছে। প্রসূতিকে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। কার্ডিওলজি বিভাগে এবার তাঁর স্থায়ী পেসমেকার বসবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub