গোবিন্দ রায়: রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ এবং ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র প্রভাব নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে(Calcutta HC) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, একটি অভিযোগও যদি সত্যি হয়, তাহলে তা গুরুতর। এনিয়ে রাজ্যের হলফনামা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আগামী ২১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আর জি কর আবহে আলোচনার নতুন কেন্দ্রে চলে এসেছে ‘থ্রেট কালচার’ বা ‘হুমকি সংস্কৃতি’ শব্দটি। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে জুনিয়রদের এই হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে ভুরি ভুরি অভিযোগ। এতে মূলত নাম উঠে আসছে ছাত্রনেতা তথা সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশের। এই সূত্রেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে-দের সাসপেন্ড করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে খোদ স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফেই। এনিয়ে এবার হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আর তা নিয়ে এদিন শুনানি ছিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। তাতে আদালত জানিয়েছে, এক প্রিন্সিপালের রিপোর্টেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচারে’র উল্লেখ রয়েছে।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মন্তব্য করেন, ”একটি অভিযোগেরও সত্যতা থাকলে সেটা অত্যন্ত গুরুতর।” জানা গিয়েছে, এই মামলায় শুধু হুমকির বিষয়টি নয়, প্রশ্নপত্র বিক্রি, ডাক্তারদের বদলি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের হলফনামা তলব করেন প্রধান বিচারপতি। সেইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। এদিনের শুনানিতে টিএস শিবজ্ঞানম বিস্ময় প্রকাশ করেন কয়েকজন চিকিৎসকের অভিজ্ঞতার কথা শুনে। একজন মহিলা চিকিৎসকের দাবি, তাঁকে বাবা নিরাপত্তার জন্য ছুরি দিয়েছেন। আরেক মহিলা চিকিৎসক বলছেন যে তিনি পেপার স্প্রে সঙ্গে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান। আরও অভিযোগ, হাসপাতালের ৬০ শতাংশ মহিলা চিকিৎসক বিভিন্নভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হন। এনিয়ে পরবর্তী শুনানি ২১ নভেম্বর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.