অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: খাস কলকাতায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পরিত্যক্ত অ্যাসিড কারখানা। ধ্বংসস্তূপ চাপা পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর আশঙ্কা। এখনও ভিতরে বেশ কয়েকজন আটকে। রবিবার রাতে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এন্টালি থানা এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী, পুরসভার টিম। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
জানা গিয়েছে, এন্টালি থানা এলাকার ২৩ নম্বর কনভেন্ট রোডের ওই কারখানাটি বহু পুরনো। শরিকি সমস্যার কারণে বহু বছর ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় কারখানাটি। দুই নিরাপত্তারক্ষী দেখভালের দায়িত্বে। অন্য়ান্য় দিনের মতোই রবিবার রাতেও তাঁরাই ছিলেন। ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকা বিকট শব্দ শুনতে পান এক নিরাপত্তারক্ষী। ছুটে গিয়ে দেখেন হুড়মুড়িয়ে ভাঙছে কারখানার একাংশ। তিনি চাপা পড়ে যান ধ্বংসস্তূপের নিচে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে চাপা পড়েন তাঁর ভাই অর্থাৎ আরেক নিরাপত্তারক্ষী। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, উদ্ধারকারী দল ও পুরসভার টিম। পৌঁছন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ৫৫ নম্বরের কাউন্সিলর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুই নিরাপত্তারক্ষীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শোনা যাচ্ছে, এখনও বেশ কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ধ্বংসস্তূপ না সরালে আদৌ কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগেও একবার ভেঙে পড়েছিল এই কারখানার একাংশ। সেই সময় চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। ফের একই ঘটনার পুনরাবৃ্ত্তিতে মালিক পক্ষ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আমজনতা। উল্লেখ্য, স্থানীয়দের একাংশের দাবি, পরিত্যক্ত এই কারখানা নেশাগ্রস্তদের আখড়া। বিপদ জেনেও আনাগোনা লেগেই থাকে। ফলে অবিলম্বে কারখানাটিকে নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যথাও বিপদের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.