দিশা ইসলাম, বিধাননগর: ছেঁড়া তোষক, বালিশ কিংবা ভাঙা বালতি, টব, কাচ, টিভি ইত্যাদি ভাঙাচোরা দ্রব্যসামগ্রী বাড়িতে ডাঁই হয়ে পড়ে! সারা বছর ঘরে জড়ো হওয়া জঞ্জাল আবর্জনাগুলি ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা পাচ্ছেন না। কোথায় ফেলবেন বলে ভাবছেন। এবার নাগরিকদের এই সমস্যা মেটাতে পথে নেমেছে বিধাননগর কালেকশন’ পুরসভা। ‘স্ক্র্যাপ অভিযান নেমেছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ এই অভিযানে পুর সাফাই কর্মীরা আবাসিকদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ছেঁড়া তোষক, বালিশ, ভাঙা বালতি, টব, কাচ ইত্যাদি পরিত্যক্ত দ্রব্যসামগ্রী সংগ্রহ করছে। বিধাননগরে এক মাসব্যাপী দুয়ারে ‘স্ক্র্যাপ কালেকশন’ ঘিরে তুমুল আগ্রহ।
সল্টলেক ও রাজারহাট দুই অংশ মিলিয়ে বিধাননগর পুরসভায় ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। একটি সমীক্ষায় পুর স্বাস্থ্য কর্তারা জেনেছে, সল্টলেক, বাগুইআটি, রাজারহাটের বহু আবাসিকদের বাড়িতে সারা বছরের ভাঙাচোরা জড়ো হয়ে পড়ে থাকছে। আবার কোথাও কোথাও ভাঙা বালতি, টব, কমোড প্রভৃতি বাড়ির পাঁচিলের ভিতরে অথবা খোলা ছাদের উপর পড়ে রয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন জমে থাকছে জল। মশার বংশবিস্তারের অন্যতম কারণ হল- স্থির নোংরা জমা জল। সেখানে জন্ম হয় মশার লার্ভার। ফলে পচা জমা জল থেকে মশাবাহিত ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া-সহ নানাবিধ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পুর কর্তারা জানিয়েছেন, পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে সারা বছরই কাজ করছে পুরকর্মীরা। সেই অংশে আগামী বর্ষার আগেভাগে এলাকা থেকে স্ক্র্যাপ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে।
পুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, চলতি মাসের শুরু থেকে টানা একমাস ধরে চলবে এই অভিযান। রোজই সকালে পুর সাফাই কর্মীরা বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে। সেই কর্মচারীদের সঙ্গেই একটি বিশেষ দল স্ক্র্যাপ সংগ্রহের গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে বাসিন্দাদের দুয়ারে। এর দিনকয়েক আগে থেকে মাইকে প্রচার করে নাগরিকদের সজাগও করছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধিরা। পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে সংগৃহীত স্ক্র্যাপ ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে নিষ্পত্তি করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.