ধৃত দুষ্কৃতীরা। নিজস্ব চিত্র
সুব্রত বিশ্বাস: পুণ্যার্জনের আশায় তীর্থে এসে পকেট সাফের আশঙ্কা! পুণ্যার্থীদের ভোগান্তির আগেই ব্যবস্থা নিল রেল। আর তাতেই কেল্লাফতে। গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের নিঃস্ব করতে হাওড়া স্টেশনে জড়ো হয়েছিল বিহারের ‘বেগুসরাইয়ের গ্যাং’। সেকেন্দ্রাবাদ গরীবরথ এক্সপ্রেসে অপরাধ সংগঠিত করার ছক নিয়ে হাজির তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আরপিএফের সিআইবির গোয়েন্দারা। তাদের কাছে থেকে প্রচুর মাদক ট্যাবলেট, ক্রিম বিস্কুট ও জলের বোতল আটক করেছে আরপিএফ।
হাওড়া ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে শিকার ধরতে জড়ো হয়েছিল ৩ জন। ট্রেনটির যাত্রীদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাঁদের মাদক মিশ্রিত জল ও বিস্কুট খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করার মুহূর্তে টহলদার আরপিএফের নজরে আসে। তখনই তিনজন শম্ভু পাশোয়ান, গোবিন্দ মাহাতো ও মহম্মদ ইরফানকে পাকড়াও করে আরপিএফ। তাদের কাছ থেকে প্রচুর মাদকজাতীয় ট্যাবলেট, জল ও বিস্কুট পাওয়া যায়।
জেরার মুখে ধৃত দুষ্কৃতীরা জানিয়েছে, গঙ্গাসগরের পুণ্যার্থীদের মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে তাদের সর্বস্ব লুঠের পরিকল্পনা নিয়ে হাওড়া এসেছিল। ধৃত তিনজনকে জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়। পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি যাত্রীদের সচেতন করে বার্তা দিয়েছেন, অপরিচিত কারোর দেওয়া খাবার ট্রেন বা স্টেশনে খাবেন না। কেউ সে জন্য পীড়াপীড়ি করলে পুলিশকে জানান। প্রায়ই এই অপরাধীদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারান অনেক যাত্রী। উল্লেখ্য, খাবারে বাড়তি ড্রাগে অচৈতন্য হয়ে অনেকেই মারা গিয়েছেন আগে। ফলে সচেতন থাকা জরুরি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.