Advertisement
Advertisement
Amit Mitra

মোদি জমানায় মাথাপিছু আয় কমেছে, বেড়েছে বেকারত্ব, দাবি অমিত মিত্রর

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দাবি, চলতি বছরের জুন মাসে দেশে বেকারের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ, যা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

Amit Mitra, former finance minister in Bengal claims that income reduces and umployment rises during Modi era
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 11, 2024 2:04 pm
  • Updated:August 11, 2024 2:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‌বিজেপি সরকারের জমানায় মাথাপিছু আয় কমে বেকারত্ব বাড়ছে। এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কে নিজের মতপ্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “২০১২ সালে দেশে মাথাপিছু আয় ছিল ১২ হাজার ৯০০ টাকা। ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯২৫ টাকা। শুধু চাকরিজীবী নয়, স্বনিযুক্ত কর্মীদের ক্ষেত্রেও এই আয় উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।” তিনি জানান, ২০১২ সালে মাথাপিছু স্বনিযুক্ত কর্মীদের আয় ছিল ৭ হাজার ১৭ টাকা। ২০২২-এ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪৩ টাকা।

অন্যদিকে, অসংগঠিত ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অথচ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে ৯৩ শতাংশ। তাঁর অভিযোগ, চলতি অর্থবছরের বাজেটে অসংগঠিত ক্ষেত্র নিয়ে কোনও দিশাই দেখাননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। উৎপাদন ক্ষেত্রে কাজ না পাওয়ায় শহর থেকে বহু মানুষ গ্রামে ফিরে আসছেন। এর ফলে বাড়ছে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই বেশি শ্রমিক (Labours) হয়ে গেলে কাজের সুযোগ কমছে, আয়ও কমছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সইফপুত্র ইব্রাহিমের সঙ্গে কাজলের নয়া সমীকরণ! প্রাক্তন নায়কের ছেলেকে নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী?]

অমিত মিত্র (Amit Mitra) জানান, চলতি বছরের জুন মাসে দেশে বেকারের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ। যা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)কিংবা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সম্পূর্ণ উদাসীন যা তাঁর কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকছে। বাজেটে ৫০০টি বড় কোম্পানিকে ১২ মাসের জন্য ২০ লক্ষ ইন্টার্নকে সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। এই কোম্পানিগুলিতে এমনিতেই ৬৭ লক্ষ কর্মী রয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ মানতে গেলে তাঁদের প্রতি বছর ৪ হাজার করে কর্মী নিতে হবে, যা অবাস্তব বলে মনে করছেন অমিত মিত্র। জমি, বাড়ি বিক্রি করলে কেন্দ্রীয় সরকার অতিরিক্ত কর (Tax) ধার্য করতে চেয়েছিল।

[আরও পড়ুন: ‘এবার ইডি-সিবিআই মামলা করবে?’, হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্টের পর প্রশ্ন মহুয়ার, সরব কংগ্রেসও]

এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দাবি, হয় প্রধানমন্ত্রী বোঝেননি। অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে বিপদে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চাপে পড়ে তাঁদের পিছিয়ে যেতে হয়েছে। এছাড়াও বাজেটে (Budget)১০০ দিনের কাজে বয়ঃসন্ধির মেয়েদের বিভিন্ন প্রকল্পে এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে, যা মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement