অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: কসবার হালতু কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই মৃত যুবকের মামা ও মামিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আত্মহত্যার প্ররোচনা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করলেই গোটা ঘটনার রহস্যভেদ হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে হালতুর পূর্বপল্লিতে স্বামী-স্ত্রী, সন্তানের রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছন। দেখা যায়, ঘরে ঝুলন্ত সোমনাথ রায়ের বুকে বাঁধা ছোট্ট ছেলে রুদ্রনীল! আরেকদিকে স্ত্রী সুমিত্রার দেহ ঝুলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, ছেলেকে আগে খুন করে তারপর নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে তবেই গলায় ফাঁস দিয়েছেন সোমনাথ। ঘরের দেওয়ালে লেখা কিছু নাম, সম্পত্তি সংক্রান্ত কিছু তথ্য। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে আরও তথ্য হাতে পায় পুলিশ। উঠে আসে সোমনাথের মামা-মামির নাম।
জানা গিয়েছে, দেনা ছিল অটোচালক সোমনাথের মাথার উপর। ছেলের চিকিৎসার জন্য অটো ইউনিয়নের থেকে নাকি ৮ হাজার টাকা ধার করেছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর ঠিক আগে সোমবার জীবনের সেই ঋণ শোধ করে দেন। এছাড়া অন্যান্য জায়গাতেও ধার ছিল, সেসব মেটাতে একটি অটো বিক্রি করেছিলেন সোমনাথ। তারপরও অশান্তি মেটেনি। হালতুর যেখানে তাঁরা থাকতেন, সেটা সোমনাথের মামারবাড়ি। এই সম্পত্তি নিয়ে মামা-মামির সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরই মৃতের মামা ও মামিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.