প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় প্রতিবেশি! আর এই অপমানের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ‘টয়লেট ক্লিনার’ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলায়।
ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ তারিখ, মঙ্গলবার বাড়িতে একা ছিলেন বছর কুড়ির ওই তরুণী। অভিযোগ, সেসময়ই বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে ঢুকে পড়ে প্রতিবেশী এক যুবক। তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় সে। এর পরই অপমানে ও সমাজের ভয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন নির্যাতিতা। ‘টয়লেট ক্লিনার’ খেয়ে নিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন বাড়িতে। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন ফিরে এসে তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সমস্ত ঘটনা জানতে পারেন নির্যাতিতার বাড়ির লোকজন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানান, ধর্ষণের পর সমাজের সমালোচনা এড়াতেই এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারও। এই ঘটনা নিয়ে কনৌজের এসএসপি অমিত কুমার আনন্দ এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “১১ জুলাই আমাদের কাছে খবর আসে, এক তরুণী টয়লেট ক্লিনার খেয়ে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তরুণীর অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়। তার পর নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত যুবক ওই তরুণীর গ্রামেই থাকেন। তাঁদের মধ্যে আগে থেকে কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, চিকিৎসার পর এই মুহূর্তে সুস্থ রয়েছেন ওই তরুণী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.