সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই ত্রিপুরায় বিরোধী বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের তরফে শাসকদলের বিরুদ্ধে হিংসা এবং ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করছিল যে, ভোটের আগেই বিজেপি (BJP) সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছে। যাতে করে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারে। আর সেই অভিযোগই সত্য প্রমাণিত হল।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত ভোটে ৭১ শতাংশ আসনই বিনা ভোটে জিতে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি! ৮ আগস্ট ত্রিপুরায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট। ১২ তারিখ গণনা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Tripura State Election Commission) তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের মাত্র ২৯ শতাংশ আসনে ভোটদাতারা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন! কারণ, পঞ্চায়েতের তিন স্তরের মোট ৬৮৮৯টি আসনের মধ্যে ৪৮০৫টিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছেন ‘পদ্ম’ প্রতীকের প্রার্থীরা।
ত্রিপুরায় দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা সিপিএমও বিজেপির বিরুদ্ধে অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। এমনকী কেন্দ্রের বিরোধী দল কংগ্রেসও বিজেপিকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি আশিস সাহা বলেছেন, “জনসমর্থন নেই বুঝতে পেরে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই সন্ত্রাসের পথ নিয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেসের (Congress) পরিষদীয় নেতা সুদীপ রায়বর্মন-সহ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের উপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে ওরা। রাজ্যের আটটি জেলাতেই বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারই পরিণামে এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়।” এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘ব্যস তাহলে গণতন্ত্র এখন আর বিপদের মুখে নেই! আমাদের বিরোধী দলগুলি এখন কি বলছে?’’
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়ায় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার একটি জেলা পরিষদের আসনের সিপিএম প্রার্থী খুন হয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অসিত দাস জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট হতে যাওয়া আসনগুলির মধ্যে বিজেপি ১৮০৯, সিপিএম ১২২২ এবং কংগ্রেস ৭৩১টিতে লড়ছে। বিজেপির সহযোগী তিপ্রা মথা ১৩৮টিতে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৫৫ শতাংশ এবং জেলা পরিষদে ১৬ শতাংশ আসনও বিনা ভোটে জিতে নিয়েছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.