সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের তরফে ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনার সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “বিজেপি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এই বিল মুসলিমদের ধর্মপালনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে।”
উল্লেখ্য, বিরোধীদের প্রবল আপত্তি ও হট্টগোলের মধ্যে বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি দাবি করেন, “সরকার কোনও ধর্মীয় সংগঠন বা তাদের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করছে না। কোনও মসজিদের সম্পত্তিতেও হস্তক্ষেপ করছি না। ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় এটি।” এরপরেই তিনি দাবি করেন যে ‘মুসলমানদের ভালোর জন্য ওয়াকফ বিল’ আনছে মোদি সরকার।
যদিও কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী পক্ষের বক্তব্য, মিথ্যে দাবি করছেন রিজিজু। প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী সংবিধান প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী। বিল নিয়ে আলোচনার সময় তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আড়ালে বিজেপি দেশবাসীকে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে ভাগ করতে চায়। সেকারণেই সম্প্রদায়ের উপর ভিত্তি করে ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে শ্রেণিবিভাগ। এটা আসলে বিজেপির অসৎ উদ্দেশ্যের দিকেই ইঙ্গিত করে।” কল্যাণের দাবি, “ওয়াকফ বিল আসলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের চেষ্টা। ওয়াকফ মুসলিম সম্প্রদায়ের মেরুদণ্ড। অথচ প্রস্তাবিত এই বিলে যে সব পরিবর্তন চাওয়া হয়েছে সবটাই অযৌক্তিক। ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার। সংশোধনী বিলে রাজ্যের ক্ষমতাও খর্ব করা হয়েছে। এই বিল অসাংবিধানিক।”
কল্যণের বক্তব্য, “ইসলাম অত্যাধুনিক এবং মুক্তচিন্তার ধর্ম। একজন মুসলিম যে কোনও জায়গায় নমাজ পড়তে পারেন। কোনও ব্যক্তিকেই মসজিদে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় না। কিন্তু ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলিমদের ধর্মপালনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।” তৃণমূল সাংসদের দাবি, এই বিলের পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। এটা অসাংবিধানিক। আমরা কোনওভাবেই এই বিলকে সমর্থন করি না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.