সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল ভারত-থাইল্যান্ড ১৪০০ কিলোমিটারের সড়কপথ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক উন্নতিতে এই সড়কপথের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে ৭০ শতাংশ কাজ হয়েও আটকে রয়েছে এই প্রকল্প। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক প্রকল্প আটকে থাকার জন্য মায়ানমারের দিকে আঙুল তুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
মঙ্গলবার অসমের গুয়াহাটিতে এক বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এই সড়ক প্রকল্প নিয়ে মুখ খোলেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শংকর বলেন, “ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড হাইওয়ের কাজ শেষ হলে দেশে বাণিজ্যের এক নয়া পথ খুলে যাবে।” তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কাজ কেন বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে? তার ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “মায়ানমারের রাজনৈতিক সমস্যার জেরে এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তবে আমরা কোনওভাবেই এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে বন্ধ হতে দিতে পারি না। প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এর বাস্তব সমাধান খুঁজে বের করব।”
উল্লেখ্য, ভারত, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড তিন দেশের বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পর্যটনকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যেতে ২০০২ সালে এই সড়কপথের উদ্বোধন করা হয়। লক্ষ্য ছিল ১৪০০ কিলোমিটারের এই দীর্ঘ সড়কপথ মণিপুরের মোর থেকে মায়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডের মায়ে সোট শহর পর্যন্ত যাবে। কাজও চলছিল জোরকদমে। তবে মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক সমস্যার জেরে বন্ধ হয় এই সড়ক নির্মাণের কাজ। এই প্রকল্প পুনরায় যাতে চালু করা যায় তার জন্য ভারতের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানালেন জয়শংকর।
ওই অনুষ্ঠান থেকে জয়শংকর আরও বলেন, “মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার’-এর যে নীতি আমরা নিয়েছিলাম তা অত্যন্ত সফল। বাংলাদেশ থেকে ভুটান, নেপাল থেকে মায়ানমার পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্বের সমস্ত দেশগুলির উপর আমাদের বাড়তি নজর। নতুন রাস্তা, চেকপয়েন্ট, রেললাইন, জলপথ, বিদ্যুৎ গ্রিড, জ্বালানি পাইপলাইন এবং পরিবহণ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। করোনাকালে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং প্রতিবেশীদের কাছে টিকা, খাদ্যশস্য, সার এবং জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করে প্রথম দেশ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.