আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে শুনানি সুপ্রিম কোর্ট। জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের মাঝেই আজ ষষ্ঠবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি। এবার নজর সিবিআইয়ের চার্জশিট, রাজ্যের স্ট্যাটাস রিপোর্ট এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন কর্মসূচির দিকে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির LIVE UPDATES:
দুপুর ৩.৪০: আজকের মতো শুনানি শেষ। দীপাবলির পর ফের মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
দুপুর ৩.৩০: প্রধান বিচারপতি বললেন, অভিযুক্ত একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। কীভাবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল? উত্তরে আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। করুণা নন্দী জানান, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় গার্হস্থ্য হিংসায় অভিযুক্ত। এর পরই সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগ নিয়ে একাধিক তথ্য তলব করলেন প্রধান বিচারপতি।
দুপুর ৩.২৫: সুপ্রিম শুনানিতে উঠে এল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা। আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের কথায়, ২০২২ সাল থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ফলে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে আসা মানুষজন বিষয়গুলির মধ্যে ঢুকে পড়ছে। যদিও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত।
দুপুর ৩.২৩: কলকাতা এবং রাজ্যে কত সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে? জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি। আইনজীবী করুণা নন্দী জানালেন, ১৫১৪। তাঁদের যোগ্যতা কী? কোন বৈধ আইনের ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ করা হয়? কোথায় কোথায় নিযুক্ত রয়েছেন তাঁরা? দৈনিক নাকি মাসিক বেতন পান তাঁরা? জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যেকে হলফনামা দিতে হবে। সুুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, হাসপাতাল-থানা এবং অপরাধস্থলে সিভিক মোতায়েন করা যাবে না। এই নির্দেশ পূরণ করতে কী কী পদক্ষেপ করছে রাজ্য, তাও জানাতে হবে।
দুপুর ৩.১৯: সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুললেন সিনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী করুণা নন্দী। তাঁর দাবি, “যে সিভিক নিয়োগের বিরোধিতা আমরা করেছিলাম, রাজ্য তাদের নিয়োগ কার্যত দ্বিগুণ করে দিয়েছে। অথচ হাই কোর্ট এই নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।” পালটা রাজ্যের দাবি, ২০০৫ সালের নিয়ম মেনে দেশের সব হাসপাতালে নিয়োগ করা হয়। মহারাষ্ট্রে যে নিয়ম মেনে নিয়োগ হয় কলকাতাতেও একই নিয়মে নিয়োগ হয়। তবে সঞ্জয়কে ২০০৫-এর আইন মেনে নিয়োগ করা হয়নি। পুলিশের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে।
দুপুর ৩.১০: ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া আর কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। চার্জশিটের কপি জমা দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তখনই বিষয়টা জানান তাঁদের আইনজীবী তুষার মেহতা। অর্থাৎ আর জি করে গণধর্ষণের তত্ত্ব, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে।
দুপুর ৩.০০: রাজ্যের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা, দাবি সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী। তাঁর দাবি, ২৫ হাজার ডাক্তার বলছেন নিরাপত্তার কাজ হয়নি। কোথাও কোথাও সবে মাত্র কিছু কাজ শুরু হয়েছে।
দুপুর ২.৫৬: রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ কত দূর, তা জানিয়ে হলফনামা জমা করল রাজ্যের তরফের সিনিয়র আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আর জি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তার কাজ শেষ হবে। অন্যান্য হাসপাতালে নিরাপত্তার কাজ প্রায় শেষ জানাল রাজ্য। আর জি করের ক্ষেত্রে অনুমতি ছিল না। সেই অনুমতি পাওয়া গিয়েছে।
দুপুর ২.৪৮: জাতীয় টাস্ক ফোর্স কী করছে? কবে শেষ বৈঠক? জানতে চাইলেন বিচারপতিরা। সলিসিটার জেনারেল জানালেন. ৯ সেপ্টেম্বর শেষ বৈঠক হয়েছে। এর পর কেন বৈঠক হল না, প্রশ্ন বিচারপতির। জবাবে তুষার মেহতা জানান, সচিব ছুটিতে ছিলেন। প্রত্যেককে নিয়মিত বৈঠকে বসে ৩ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষের নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি।
দুপুর ২.৪৩: এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি? আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি কত দূর? সিবিআই জানাল, এটা নিয়ে তদন্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে। আরও তিন সপ্তাহ সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
দুপুর ২.৩৩: নয়া তথ্য সম্বলিত স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। জমা পড়ল চার্জশিটও। চার্জশিটে উল্লেখিত তারিখ ৭ অক্টোবর। শিয়ালদহ কোর্টে আগেই চার্জশিট দাখিল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে কলকাতা পুলিশের তদন্তকেই কার্যত মান্যতা দেওয়া হয়েছে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে দোষী একমাত্র সঞ্জয় রায়-ই। সুপ্রিম কোর্টে একই কথা জানাল সিবিআই।
দুপুর ২.২৫: প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.