আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের। কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের রিপোর্টেও নজর গোটা দেশের। প্রতিটি আপডেটের জন্য নজর রাখুন LIVE UPDATE-এ।
বিকেল ৪.৩৭: দিল্লির এইমসের রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন।
বিকেল ৪.২১: সুপ্রিম নির্দেশিকা নিয়ে তৃণমূলের মিডিয়ার সদস্য কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্য সরকার কাউকে আড়াল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ছে না। যেহেতু সেখানে মামলা চলছে তাই আইনজীবীকে থাকতে হচ্ছে। সিবিআই একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। একজন গ্রেপ্তার হয়েছে, তাকে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করেনি।”
দুপুর ৩.২৬: কাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিয়ালদহ কোর্টকে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়ে রায়দান করতে হবে। নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলতে পারে তবে তা যেন তদন্তে ব্যাঘাত না ঘটায়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। তবে আইন নিজের পথে চলবে। এক সপ্তাহ পরে আবার স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে। ৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি।
দুপুর ২.৫৫: প্রধান বিচারপতি বললেন, চিকিৎসকরা কাজে ফিরতে ইচ্ছুক।
দুপুর ২.৫০: স্ট্যাটাস রিপোর্ট আবার সিল করার নির্দেশ আদালতের। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবকে রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজিদের সঙ্গে বৈঠক করে হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কী কী করা যায়, তা ঠিক করতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। রাজ্যগুলিকে তা দুই সপ্তাহের মধ্যে বলবৎ করতে হবে।
দুপুর ২.৪৫: চিকিৎসকদের সুরক্ষায় জন্য নতুন আইন প্রণয়ন দাবি আইনজীবীর। আগে এনটিএফ রিপোর্ট দিক। তার পর আইন প্রণয়ন হবে।
দুপুর ২.৪০: চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে আদালত উদ্বেগপ্রকাশ করার পরেই রাজ্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের নেতার বিরুদ্ধে কোনও কথা বললে আঙুল কেটে দেব।” রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল পাল্টা বলেন, “আপনাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন গুলি চালিয়ে দেব।” দুই পক্ষের বাগ্যুদ্ধ দেখে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।”
দুপুর ২.৩৮: চিকিৎসকরা কাজে ফিরুন, অনুরোধ সুপ্রিম কোর্টের। সাধারণের নিরাপত্তা বজায় রাখা রাজ্যের কর্তব্য, বলছে আদালত। বিক্ষোভকারী ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
দুপুর ২.৩৫: আর জি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য। স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট।
দুপুর ২.২৭: প্রধান বিচারপতির প্রশ্নবাণ।
দুপুর ২.২৫: বিরতির পর লাঞ্চ শুরু।
দুপুর ১.০৫: আদালতে লাঞ্চ ব্রেক। দুপুর ২টোয় পরবর্তী শুনানি।
দুপুর ১.০৩: রাজ্যের তরফে জানানো হয়, আর জি কর কাণ্ডে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু কেস ডায়েরি উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বললেন, “এখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, রাত ১১টা ৩০ মিনিটে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছিল।”
বেলা ১২.৪০: সলিসিটার জেনারেলের দাবি, রাজ্য জানিয়েছে তরুণী চিকিৎসকের বাবা-ই এফআইআরে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
বেলা ১২.৩০: অরিজিনাল কেস ডায়েরি চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সিব্বল জানালেন, হাই কোর্টের নির্দেশ পাওয়ামাত্র কেস ডায়েরি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।
বেলা ১২.২০: প্রশ্নের মুখে আর জি করের নন মেডিক্যাল সুপারের ভূমিকা। তিনি কে, জানতে চাইল আদালত। সুপ্রিম প্রশ্ন, “নন মেডিক্যাল সুপার কে ছিলেন? তাঁর ভূমিকাও প্রশ্নাতীত নয়।”
বেলা ১২.১৬: আদালতে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। ৩০ বছরের কেরিয়ারে আগে এমন ভূমিকা দেখিনি, মন্তব্য বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার। অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়েরে এত দেরি কেন, প্রশ্ন বিচারপতির।
বেলা ১২.০৭: অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়েরের আগেই ময়নাতদন্ত! অবাক বিচারপতি। বিচারপতি পার্দিওয়ালা জানতে চান, কখন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে? কখন এফআইআর হয়েছে? কখন হয়েছে ময়নাতদন্ত? সিব্বল জানালেন, সন্ধে ৬টা ১০ থেকে ৭.১০ পর্যন্ত ময়নাতদন্ত চলে। আরেক বিচারপতি মিশ্রর কথায়, সন্ধেয় ময়নাতদন্ত হয়েছে। রাত সাড়ে এগারোটায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এফআইআর হয়েছে রাত পৌনে বারোটায়।
বেলা ১২.০৫: প্রধান বিচারপতি জানান, জেনারেল ডায়েরি হয়েছিল সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। অথচ অপরাধস্থলে ঘিরে ফেলা, নমুনা সংগ্রহ শুরু হয় রাত সাড়ে এগারোটায়। যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক, বলছেন বিচারপতি। সঙ্গে প্রশ্ন, এতক্ষন কী করছিলেন?
বেলা ১২.০২: ‘গোটা ঘটনার প্রতিটি মিনিটের টাইমলাইন আছে আমার কাছে।’ বললেন সিব্বল। আপনাদের কাছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আছে? প্রশ্ন করলেন বিচারপতি। স্থানীয় পুলিশ দিয়েছে, জানালেন সলিসিটার জেনারেল।
বেলা ১২.০০: মৃতার সহকর্মী, সিনিয়র চিকিৎসকরাও ভিডিওগ্রাফির দাবি করেছিলেন। তাহলে ওঁরাও জানত, কিছু লুকিয়ে ফেলা হতে পারে। দাবি সলিসিটার জেনারেলের।
সকাল ১১.৫৫: সলিসিটার জেনারেল বললেন , এরকম কোনও রিপোর্টের কথা আমরা জানি না। পঞ্চম দিনে তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। ততক্ষণে অপরাধস্থলের চরিত্র বদল করা হয়েছিল। পালটা রাজ্যের আইনজীবী সিব্বলের দাবি, কোনও চরিত্র বদল হয়নি। সবকিছু ভিডিওগ্রাফ করা রয়েছে।
সকাল ১১. ৫২: নির্যাতিতার আঘাতের রিপোর্ট কোথায়, জানতে চাইলেন বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানালেন কেস ডায়েরিতেই আছে।
সকাল ১১.৫০: সলিসিটার জেনারেল সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করলেন। নিঃশব্দে পড়ছেন প্রধান বিচারপতিরা। তার পর সিটের (SIT) সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।
সকাল ১১.৪৫: প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “কারা নিশানা করছে? আমাদের জানান। আমরা সিআইএসএফকে জানাব।” আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের জবাব, “প্রশাসন, হাসপাতালের লোকজন আমাদের টার্গেট করছে। হাসপাতালে এখনও আতঙ্কের পরিবেশ আছে।”
সকাল ১১.৪০: আর জি কর হাসপাতালের ভিতরেই চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে জানালেন চিকিৎসকদের আইনজীবী। নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন প্রধান বিচারপতি।
সকাল ১১.৩৭: চিকিৎসকদের আইনজীবীর অভিযোগ, আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি ইনস্টল করেননি। সিসিটিভি থাকলে গোটা ঘটনাটি ট্র্যাক করা যেত।
সকাল ১১.৩০: আইনজীবীর কথায়, “৪৮ ঘণ্টা কাজ করার পর শরীর-মন অবসন্ন হয়ে যায়। তখন কেউ উত্যক্ত করলেও বাধা দেওয়ার ক্ষমতা থাকে না। গুরুতর অপরাধের কথা তো বললামই না।”
সকাল ১১.২৯: সরকারি হাসপাতালের অবস্থা কী আমি জানি, শুনানির মাঝে বললেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। জানালেন, তাঁর আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হাসপাতালের মেঝেতে ঘুমিয়েছেন। দেখেছেন, চিকিৎসকরা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করেন।
সকাল ১১.১৮: সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুরু আর জি কর মামলার শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.