সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ভোটপ্রচারের শুরুতেই মহা বিকাশ আঘাড়ির অন্দরের টানাপোড়েনকে হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর প্রশ্ন, “জোটের চালকের আসন নিয়ে নিজেদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি করছে আঘাড়ি। এরা মহারাষ্ট্রের উন্নতি কীভাবে করবে?”
বস্তুত, মহারাষ্ট্রের বিরোধী মহাজোটে শরিকি সমস্যা একটা আছে। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে ইতিমধ্যেই একপ্রস্ত বিবাদ দেখা গিয়েছে। মহা বিকাশ আগাড়ির (MVA) তিন প্রধান শরিক কংগ্রেস, এনসিপির শরদ পওয়ার এবং শিব সেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির। উদ্ধব শিবির চাইছে বিধানসভায় তাঁদের দলের নেতাকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে এগোক আগাড়ি। কংগ্রেস এবং এনসিপি সেটার পক্ষে নয়। তাঁদের নীতি, যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে তাঁদের শিবির থেকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। আসন সমঝোতা নিয়েও বিরোধী জোটে মহা জটিলতা তৈরি হয়েছিল।
জোটের অন্দরের সেই সমন্বয়ের অভাবকে হাতিয়ার করে মোদির কটাক্ষ, “চালকের আসনে কে বসবে, সেই নিয়েই ওদের যত ঝামেলা।” প্রধানমন্ত্রী বলছেন,”এই ধরনের জোট যখন ক্ষমতায় আসে ওরা সরকারি নীতিকে স্লথ করে দেয়। উন্নয়নের কাজে বাধা হিসাবে উঠে আসে। আপনারা আগেও আড়াই বছর ওদের সহ্য করেছেন।” মোদির সাফ কথা, একমাত্র মহাজুটিই মহারাষ্ট্রকে স্থায়ী সরকার দিতে পারে। বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে ‘লড়কি বহিন’ যোজনাও বন্ধ করে দেবে।
ধুলের সভা থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদির বক্তব্য, “সমাজে যাবতীয় বিভেদ তৈরির কাজটা কংগ্রেস করে। ওরা মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করে।” দেশভাগের দুঃসহ স্মৃতিও তুলে ধরেন মোদি। তিনি বলেন, “ধর্মের নামে মানুষের বিভাজন সৃষ্টি করে কংগ্রেস দেশটাকেই দুটুকরো করে দিয়েছিল”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.