সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও ইস্যুতে সর্বদল বৈঠকে সব বিরোধী দল কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। কিন্তু ওই সর্বদল বৈঠকের পর ৪৮ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই খানিকটা উলটো কথা শোনা গেল শরদ পওয়ারের গলায়। যেন হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় কোনও পদক্ষেপ করার আগে প্রত্যাঘাতের ব্যাপারেও ভেবে নেওয়া উচিত।
এনসিপি সুপ্রিমোর ইঙ্গিত, তাড়াহুড়োতে বা ক্রোধের বশে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়, যার ফলাফল ভারতের বিপক্ষে যায়। এনসিপি (এসসিপি)-সুপ্রিমো বলছেন, “আজ হয়তো আমরা কড়া পদক্ষেপ করছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে আগামী দিনে পাকিস্তানও পালটা দেবে। আমার মনে হয় না পাকিস্তান চুপচাপ বসে থাকবে।” উদাহরণ হিসাবে পওয়ার টেনেছেন পাক আকাশসীমা বন্ধের সিদ্ধান্তকে। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বলছেন, “ইউরোপগামী সব বিমানই পাকিস্তানের উপর দিয়ে উড়ে যায়। সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে বিমানযাত্রার খরচ অনেক বেড়ে যাবে।”
বস্তুত পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কার্যত শেষ। নয়াদিল্লির তরফে হামলার পরদিনই ঘোষণা করা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের প্রবেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। সমস্ত সার্ক ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়। পালটা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানও। ইসলামাবাদের তরফেও সমস্ত দিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় বিমানগুলির জন্য পাক আকাশসীমাও বন্ধ করা যাবে। শিমলা চুক্তি অমান্য করার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। পওয়ার পাকিস্তানের এই পালটা পদক্ষেপ নিয়েই সতর্ক করছেন কেন্দ্রকে।
প্রশ্ন হল, পহেলগাঁও নিয়ে অন্য বিরোধীরা যখন নিঃশর্তে সর্বতভাবে সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছে, তখন এই সংশয়ের সুর কেন? এভাবে প্রকাশ্যে সংশয় প্রকাশের ফলে দেশবাসী, সেনা এবং সরকারের মনোবলে আঘাত লাগার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা জেনেও পওয়ারের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এই মন্তব্য করলেন কীভাবে? এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, নাকি সত্যিই অতি বেশি সাবধানী এনসিপি প্রধান?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.